ফের কর্ণাটকে যীশু খ্রিস্টের মূর্তি ভেঙে গুড়িয়ে দিল হিন্দুত্ববাদী সংগঠন

NBTV ONLINE DESK

NBTV ONLINE DESK

যীশু খ্রিস্টের মূর্তি ভাঙ্গা চলছে।
যীশু খ্রিস্টের মূর্তি ভাঙ্গা চলছে।

এনবিটিভি ডেস্কঃ ভারতে সংখ্যালঘু মুসলিম শিক্ষার্থীদের হিজাব বিতর্কে সারা বিশ্বের শিরোনামে কর্ণাটক রাজ্য। এই ঘটনায় ঘি ঢালার কাজ করে চলেছে বিশেষ এক হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের বিরুদ্ধে অভিযোগ। এবার যীশু খ্রিস্টের মূর্তি ভেঙে গুড়িয়ে দিল কর্ণাটকের হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে কর্ণাটকের কোলার জেলায়।

জেলা আধিকারিকের দাবী, যীশু খ্রিস্টের মূর্তি ও চার্চের অন্দরে এক ছোট প্রার্থনা হলটি সরকারী জায়গাতে তৈরি করা হয়েছে। কর্ণাটক আদালতের নির্দেশের পরেই যীশু খ্রিস্টের মূর্তি ভাঙ্গা হয়েছে। যদিও ইতিপূর্বে এমনও ঘটনা ঘটেছে সরকারী নির্দেশের নামে।

উল্লেখ্য, দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি দ্রুত ধ্বংসের পথে। দিন দিন সংখ্যালঘু সম্প্রদায় এক ভয়ের মহল তৈরি হচ্ছে। একদিন মুসলিম সম্প্রদায় ভুক্ত আক্রান্ত হলে অন্যদিকে শিখ, খ্রিস্টান, দলতি-আদিবাসী সহ অন্যান্য জাতি। দেশের শাসক বিজেপি দল এই সাম্প্রদায়িক বিষ বাষ্প ছড়াতে অনেকটাই সহযোগিতা করছে বলে বিভিন্ন মহলের। আগামী দিনে দেশে সুন্দর পরিবেশ রক্ষা করতে আগামী দিনে হিন্দুত্ববাদী শক্তিকে রুক্ষতে হবে বলে দাবী সুশীল সমাজের।

ভারতের মুসলমান ও খ্রিষ্টান সংখ্যালঘুদের ওপর হিন্দু কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত করতে সবকিছুই হিন্দু প্রভাববলয়ে নিয়ে আসা হচ্ছে। সব ভাষা ও সংস্কৃতিতেই এটা ঘটছে। এর মধ্য দিয়ে এতকালের শক্তিশালী আঞ্চলিক ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য মুছে ফেলা হচ্ছে। ভারতের বাঙালি, মালয়ালি ও অহমিয়াদের নিজস্ব নববর্ষ আছে, যা বাংলা নববর্ষ, বিষু ও বিহু নামে পরিচিত। কিন্তু গত কয়েক বছরে এই নামগুলো ধীরে ধীরে মুছে ফেলার চেষ্টা হয়েছে। এই নামগুলো উল্লেখ না করে মানুষকে নতুন হিন্দু বর্ষে স্বাগত জানানো হচ্ছে। এ ছাড়া ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠানগুলোকে এখন জাতীয়তাবাদী স্লোগানে ভূষিত করা হচ্ছে।

বিজেপি ও আরএসএস ভারতের বিভিন্ন আঞ্চলিক ও সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্যগুলো মুছে দিয়ে সবকিছু বৃহৎ হিন্দু কলেবরে নিয়ে আসতে চাইছে। ধীরে ধীরে ও পর্যায়ক্রমে তারা বিভিন্ন ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে নিজেদের লোক ঢুকিয়ে সেগুলোর নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করছে। বিজেপি মানুষকে বোঝাতে চাইছে, তারা সবাই একীভূত হিন্দু সত্তার অংশ।

এই যে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও হিন্দুত্ব এবং একই সঙ্গে হিন্দুত্ববাদ ও জাতীয়তাবাদের মধ্যে সীমারেখা ঘুচিয়ে দেওয়া হচ্ছে, তার মাধ্যমে জাতীয়তাবাদী হিন্দুত্ববাদ বা হিন্দু জাতীয়তাবাদ তৈরির চেষ্টা চলছে। সেটা করতে গিয়ে ভারতের সংখ্যালঘু মুসলমান ও খ্রিষ্টানদের অগ্রাহ্য করা হচ্ছে। কিন্তু তাতে কারও মাথাব্যথা নেই। এদিকে বিভিন্ন অজুহাতে সংখ্যালঘু মুসলমান ও খ্রিষ্টানদের ধর্মীও বিষয়গুলির উপর লাগাতার আক্রমন করেই চলেছে। নেই কোন নিরাপত্তা বরং তারা ধ্বংস লীলায় মেতে আছে।

Facebook Comments Box

সম্পর্কিত পঠিত খবর

সর্বশেষ খবর