“হিন্দু রাষ্ট্র” ধারণা দেশকে খণ্ডিত করে দেবেঃ  দলিত মুসলিম আদিবাসী প্রগতিশীল ফ্রন্ট

NBTV ONLINE DESK

NBTV ONLINE DESK

প্রতীকী চিত্র।
প্রতীকী চিত্র।

এনবিটিভি ডেস্কঃ দেশে এক ভয়ানক চিত্র তৈরি করছে এক বিশেষ হিন্দুত্ববাদী সংগঠন, সেটা আবার সরকারের ছায়া তোলে থেকে। নিয়মিত সংবাদ মাধ্যমে শোনা যায় সংখ্যালঘু, দলিত, আধিবাসী হিন্দুত্ববাদীদের হাতে আক্রান্ত। শুধুমাত্র দৈহিক ভাবে অনেক সংখ্যক মানুষের প্রান নিলেও আজ সংবিধানের পাতা টানা-টানি শুরু করেদিয়েছে। ফলে, দেশের সাংবিধানিক মূল তন্ত্রকে গোলা টিপে শেষ করে দেওয়া চলছে। এটা রক্ষা করার যদিও সরকারের সাংবিধানিক দায়িত্ব। সেখানে যদি সরকার অভিযুক্ত হয়, তাহলে সেটাকে রক্ষা ও সংরক্ষণ করতে সাধারণ মানুষের এগিয়ে আসতে হবে। যদিও সেটা বড়ই কঠিন কাজ, এরপরেও দীর্ঘ মেয়াদী সমাধানের রাস্তা বের কোরতেই হবে।

চলতি সপ্তাহে সর্ব-ভারতীয় দলিত মুসলিম আদিবাসী প্রগতিশীল ফ্রন্ট (AIDMAPF) এর ব্যানারে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে ন্যায়বিচার ও সমতা নিশ্চিত করার জন্য সকল প্রান্তিক গোষ্ঠীকে একটি অভিন্ন প্ল্যাটফর্মে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে একটি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় হায়দ্রাবাদে। মুসলিম, দলিত, উপজাতি সম্প্রদায়ের নেতারা সর্বসম্মতভাবে ভারতকে “হিন্দু রাষ্ট্র”-এ পরিণত করার বিজেপি সরকারের পরিকল্পনার বিরুদ্ধে কথা ঐক্য হওয়ার জোঠ বাঁধে। এই আন্দোলনে আওয়াজ ওঠে যে, টিআরএস সরকার সামাজিক ন্যায়বিচার এবং সমতার প্রতিশ্রুতিতে নির্বাচিত হয়েছিল। কিন্তু দলিত, মুসলিম, এসসি এবং এসটি ৪০ শতাংশ লোককে তাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করতে ব্যর্থ।

এআইডিএমএপিএফ-এর প্রতিষ্ঠাতা এ এম শোয়েব সংগঠনটিকে অরাজনৈতিক কথা উল্লেখ করে বলেন, “ এই সংগঠনের মূল লক্ষ্য আর্থ-সামাজিক এবং রাজনৈতিক ক্ষমতা অর্জনের জন্য একসাথে কাজ করা। এর গুরুত্ব সম্পর্কে দলিত, মুসলিম, এসসি এবং এসটিদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। পিছিয়ে পড়া জাতিদের মধ্যে এই সংগঠনের মাধ্যমে একটি শক্তিশালী সেনাবাহিনীতে পরিনত করতে হবে। আমরা কোনো দলের সঙ্গে লড়াই করছি না, বরং আমরা আমাদের জনসংখ্যার সাথে আমাদের ক্ষমতার ন্যায্য অংশের জন্য লড়াই করছি।”

  ডক্টর এ কুমারের বলেন, “গণতন্ত্রে কোনো জাতিই দেশে কর্তৃত্ব করতে পারে না। ভারতে যদিও ব্রাহ্মণরা জনসংখ্যার মাত্র ৩ শতাংশ। তারাই সংসদ, বিচার বিভাগ, আমলাতন্ত্র এবং মিডিয়াতে আধিপত্য বিস্তার করে আসছে। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) নির্বাচনে ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হোক কারণ তাদের অপব্যবহার হতে পারে।”

বিএসপির রাজ্য সহ-সভাপতি দয়ানন্দ বলেন যে, “ন্যায়বিচার ও সমতা অর্জনের জন্য দলিত, মুসলমান এবং আদিবাসীদের একসাথে কাজ করতে হবে।  

যারা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন তাদের মধ্যে ছিলেন জিলেকারা শ্রীনিবাস, আবরার হোসেন, রাঙ্গা রাও, ধনলক্ষ্মী, আইয়াজ আলী এবং জামায়াতে ইসলামী হিন্দের আব্দুল মজিদ।

সম্মেলনে ‘জয় ভীম-জয় মীম’ এবং ‘ভোট হামারা, রাজ তুমহারা না চলেগা’-এর মতো স্লোগান দিয়ে সংবিধান সংশোধন এবং দেশের সরকারী খাতের সম্পদ বেসরকারীকরণের পরিকল্পনার বিরোধিতা করা হয়। সমস্ত আইনসভা গুলীতে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের পাশাপাশি বেসরকারী ক্ষেত্রে সংরক্ষণ রাখার একটি প্রস্তাব পাশ করা হয় এই জনসভা থেকে। সমাবেশ থেকে এসসি এবং এসটি সহ সংখ্যালঘুদের নিপীড়ন বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে একটি প্রস্তাবও পাস করা হয়েছে।

Facebook Comments Box

সম্পর্কিত পঠিত খবর

সর্বশেষ খবর