সন্ধান মিলল এলিয়েন জগতের ! প্রক্সিমা সেন্টাউরি থেকে শনাক্ত করা হল অজ্ঞাত রেডিও সিগন্যাল

NBTV ONLINE DESK

NBTV ONLINE DESK

Earth-Transit-Zone-750px

সাইফুল্লা লস্কর : এই নীল গ্রহের বাইরে মানুষের জীবন বিদ্যমান, এটি ছিল গত শতাব্দীর সেরা বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিংয়ের পূর্বাভাস। বিজ্ঞানীরা মহাবিশ্বে সেই গ্রহটির সন্ধান করেছেন যেখানে জীবন থাকতে পারে। প্রত্যাশিত কাল্পনিক এই জীবের বাসভূমির সন্ধানের জন্য বহু মিলিয়ন ডলার গবেষণায় ব্যয় করা হয়েছে যা এখন পর্যন্ত কোনও পছন্দসই ফলাফল আনতে পারে নি। তবে অত্যন্ত জনপ্রিয় ব্রিটিশ ডেইলি দ্য গার্ডিয়ান-এর প্রতিবেদন অনুসারে, সাম্প্রতিক এক ঘটনাপ্রবাহে এলিয়েনদের অস্তিত্বের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ সম্পর্কিত সর্বাধিক আলোচিত এই ঘটনা ক্রম সংক্ষেপে তুলে ধরা হল :

১. কয়েক বছর আগে এলিয়েনদের সন্ধানের জন্য ১০০ মিলিয়ন ডলার বাজেটের মাধ্যমে ব্রেকথ্রু লিশেন নামক প্রকল্প শুরু হয়েছিল। এলিয়েন সিগন্যালের সন্ধানে দুটি বিশাল টেলিস্কোপ ইনস্টল করা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ায় পার্ক অবজারভেটরি এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গ্রীন ব্যাংক অবজারভেটরি।

২. অস্ট্রেলিয়ায় পার্কস অবজারভেটরি, গত বছরের মে ও জুনে সূর্যের সবচেয়ে কাছের তারকা, প্রক্সিমা সেন্টৌরির দিক থেকে রেডিও সংকেতের বিম পেয়েছে। সেই বিমের নাম দেওয়া হয়েছে বিএলসি 1 বা ব্রেকথ্রু লীশেন ক্যান্ডিডেট 1।

৩. সাধারণত দুটি ইলেকট্রনিক ডিভাইসের মধ্যে যোগাযোগের জন্য ব্যবহৃত হয় রেডিও সংকেত। এক্ষেত্রে শনাক্ত করা রেডিও সংকেতের ফ্রিকোয়েন্সিটি ছিল ৯৮২ মেগাহার্টজ।

৪. এ জাতীয় ফ্রিকোয়েন্সি কোনও মহাকাশযান বা কোনও উপগ্রহ দ্বারা প্রেরণ করা যায় না, মহাকাশে সংঘটিত কোনও প্রাকৃতিক ঘটনা দ্বারাও উত্পাদিত হতে পারে না।

৫. এই ফ্রিকোয়েন্সিটি সম্ভবত গ্রহের গতিবিধির সাথে ধারাবাহিকভাবে বদলে যাচ্ছিল।

৬. প্রক্সিমা বি 1 নামের প্রক্সিমা সেন্টোরির একটি গ্রহ রয়েছে যা পৃথিবীর আকারের তুলনায় ১.২ গুণ বড়। উল্লেখযোগ্য এই গ্রহটি বন প্রক্সিমা সেন্টাউরির গল্ডিলক জোন বা বসবাসযোগ্য জোনেই পড়ে যা বিজ্ঞানীদের বিশ্বাস আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।

তবে গত বছর মেয়ে এবং জুন মাসে যে রেডিও সিগন্যাল শনাক্ত করা হয়েছিল তা বছরের বাকি সময়ে আর শনাক্ত করা যায়নি। তবে অনেক বিজ্ঞানীরা আশা করছেন এই বছরেও ঠিক একই সময়ে ওই সিগন্যালটি সনাক্ত করা যেতে পারে। অবশ্য বহু বিজ্ঞানী বলেছেন এটির উৎস জানার জন্য আরো বিস্তৃত গবেষণার প্রয়োজন। ওই তারকার দিক থেকে আসছে বলে ওই তারপর কোনো গ্রহ থেকেই আসছে এমনটা নাও হতে পারে। তবে বিজ্ঞানীরা যেভাবে এগিয়ে চলেছেন এই গবেষণায় হয়তো সেদিন বেশি দূরে নয় যখন কল্পিত অবয়বের সেই অতি উন্নত প্রাণীদের সঙ্গে এই নিলগ্রহের যোগাযোগ স্থাপিত হবে।

Facebook Comments Box

সম্পর্কিত পঠিত খবর

সর্বশেষ খবর