ইজারাদার ও মাঝিদের মধ্যে সংঘাতের জেরে পারলালপুর ও পারঅনন্তপুর ঘাটে বন্ধ পারাপার

NBTV ONLINE DESK

NBTV ONLINE DESK

IMG-20210105-WA0027

নিজস্ব সংবাদদাতা: ঘাটের ইজারাদার ও মাঝিদের মধ্যে সংঘাতের জেরে মালদহের পারলালপুর ও পারঅনন্তপুর ঘাট ও মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান ঘাটের মধ্যে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে রয়েছে দুদিন ধরে।ওই ঘাট দিয়ে প্রতিদিন দুই জেলার মধ্যে যাতায়াত করেন সাত থেকে আঠ হাজার মানুষ। নৌকা চলাচল বন্ধ থাকায় ব্যাপক সমস্যায় পড়েছেন তারা। বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে সমস্যা। পরপর দুদিন প্রশাসন জট কাটাতে বৈঠক ডাকলেও তা ভেস্তে যায়। ফের সোমবার বৈঠক ডাক হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদহ জেলার ওই দুটি ঘাট দিয়ে যাত্রীদের গঙ্গা পারাপার করিয়ে দেয় ৭৯ টি ছোটো নৌকা। সম্প্রতি ওই ঘাট দুটির ইজারাদার ওই ছোটো নৌকাগুলি বাতিল করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বরং তাঁর নিজস্ব তত্ত্বাবধানে সাত আঠটি বড়ো বড়ো দিয়ে ঘাট পারাপারের প্রক্রিয়া শুরু করার কথা ঘোষণা করেছেন। এই সিদ্ধান্তের ফলে রুজি রোজগার নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন ওই ছোটো নৌকা গুলির মাঝি। তাই তারা আন্দোলনে নেমেছেন ও ঘাট দুটি দিয়ে পারাপার বন্ধ করে দিয়েছেন। যদিও এব্যাপারে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জের বাসিন্দা ওই ইজারাদারদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়নি।

মাঝিদের সংগঠণের সম্পাদক রেমান আলি বলেন, প্রায় সত্তর বছর ধরে আমরা পারলালপুর ও পারঅনন্তপুর ঘাট ও মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ানের মধ্যে নৌকা চালায়। পারাপারের জন্য যাত্রীদের কাছ থেকে কুড়ি টাকা করে পাই। এখন আমাদের বাতিল করে ইজারাদার নতুন নৌকার ব্যাবস্থা করেছেন। এতে আমরা ভাতে মারা পড়বো। তাই প্রতিবাদে নৌকা চলাচল শুরু করে দিয়েছি। আমাদের নৌকা চালানোর অধিকার না দিলে আমরাও ছেড়ে কথা বলবো না।

ওই ইজারাদারদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব না হলেও বিষয়টা নিয়ে মুখ খুলেছেন তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের আই এনটিটিইউসির মালদহ জেলা সভাপতি মানব বন্ধ্যেপাধ্যায়। তিনি বলেন সমস্যা মাঝি ইজারাদারদের নিয়ে। সঙ্গত কারনেই আমরা মাঝিদের পক্ষে আছি।তারা বংশপরম্পরায় নৌকা চালিয়ে আসছেন। এভাবে তাদের ছেঁটে ফেলা যেতে পারে না।

কালিয়াচক ৩ ব্লকের বিডিও মামুম আনসারী বলেন, দুদিন বৈঠক ডাকা হয়েছিল। সংশ্লিষ্ঠ সব পক্ষ হাজির না হওয়ায় সমাধান সূত্র পাওয়া যায়নি।সোমবার স্থানীয় পঞ্চায়েত অফিসে সব পক্ষকে নিয়ে আবার বৈঠক করার প্রক্রিয়া চলছে।

এদিকে দুই জেলার ঘাট গুলির মধ্যে প্রায় ৪৮ ঘন্টা ধরে নৌকা চলাচল বন্ধ থাকায় চরম আতান্তরে পড়েছেন যাত্রীরা। স্থানীয় বাসিন্দা সোহেল আহমেদ বলেন,আমাদের চিকিৎসা সহ দৈনন্দিন প্রয়োজনে আমরা দ্রুত জলপথে ধুলিয়ানে যাই। কিন্তু ফেরি পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কয়েক হাজার সাধারণ মানুষ চরম সমস্যায় পড়েছেন।

Facebook Comments Box

সম্পর্কিত পঠিত খবর

সর্বশেষ খবর