রেলমন্ত্রীকে এনেও ছোটদের খেলার মাঠ ভরাতে পারল না বিজেপি, আজ সেখানেই মুখ্যমন্ত্রীর বিশাল সমাবেশ

NBTV ONLINE DESK

NBTV ONLINE DESK

goyel

নিউজ ডেস্ক : পুরুলিয়ার আদ্রা রেল শহর নামে পরিচিত। আর কাশিপুর বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটারদের মন জয় করার জন্য রেল শহরে বিজেপি এনেছিল ভারতের রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলকে। কিন্তু তাতে হিতে বিপরীত হল। রেলমন্ত্রীকে আনা হয়েছিল এলাকায় বিজেপির প্রভাব যে খুব বেড়েছে পূর্বের তুলনায় সেটা প্রমাণ করতে কিন্তু প্রমাণিত হয়ে গেল ঠিক বিপরীত তত্ত্ব। খুব বড় মাঠের ছোট্ট একটি অংশ নিয়েই ছুটির দিন রবিবার পীযূষ গোয়েল এর জন্য সভার প্রস্তুতি নিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু ছোটদের মাঠ সমতুল্য সেই মাঠের অর্ধেকও পরিপূর্ণ হয়নি বিজেপি সমর্থকদের দ্বারা। ঘটনায় রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়েছে পুরুলিয়ার বিজেপি নেতৃত্ব। আজ মঙ্গলবার সেই মাঠে বিশাল জনসভা করার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

 

এদিন রেলমন্ত্রী জনসভার মধ্যেই ওই মাঠের সমগ্র অংশ জুড়ে তৃণমূলনেত্রীর সভার জন্য মাঠ প্রস্তুত করার কাজও চলে। আর সভার শুধু পেছনের অংশ নয় মাঝখানেও একাধিক চেয়ার ফাঁকা ছিল। অথচ সভায় উপস্থিত ছিলেন কাশীপুর বিধানসভার বিজেপি প্রার্থী কমলাকান্ত হাঁসদা, বিজেপির রাজ্যের সাধারন সম্পাদক তথা পুরুলিয়ার সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো, জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী। যা নিয়ে অস্বস্তি আরও বেড়েছে কাশীপুর বিধানসভার বিজেপি নেতৃত্বের।

 

তবে জনসভায় লোক না হলে বিজেপি নেতাদের এরাজ্যে কিছু পরিচিত বুলি আওড়ে গিয়েছেন পীযূষ গোয়েল। পরিবার তন্ত্র, কাটমানি, সিন্ডিকেট, পিসি ভাইপো এগুলোই ছিল অন্যান্য সমস্ত বিজেপি নেতাদের মতো তারও মুখনিঃসৃত বাক্যাবলী। তবে দলবদল এর আসরে বেশ ভালো প্রদর্শন করা রাজ্য বিজেপি বর্তমানে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের জনসভায় আদৌ জনসমাগম না হতে দেখে প্রবল চিন্তায় নিমগ্ন। দিলীপ ঘোষকে ইদানিং খুব একটা সক্রিয় দেখা যাচ্ছে না। অনেকটাই নিরব মুকুল রায় ও। খুব একটা সংবাদমাধ্যমের সামনে আর আসতে দেখা যায়না রাহুল সিনহা কে। শুভেন্দু অধিকারী মাঝেমধ্যে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা পূর্ণ স্লোগান দিয়ে প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন তিনি কট্টরপন্থী হিন্দুত্ববাদী রাজনৈতিক দলের জন্য ঠিক ঠাক প্রার্থী। এমনকি বিজেপি ক্ষমতায় আসলে রাজ্যের প্রতিটি মুসলিম পরিবারকে জয় শ্রীরাম স্লোগান দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন এই নয়া গেরুয়া উগ্রবাদী নেতা। তবে যতই সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিয়ে রাজ্যের সাম্প্রদায়িক সংহতি বিনষ্ট করার চেষ্টা করুক বিজেপির রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তাদের জনসভাগুলোতে ফাঁকা চেয়ারগুলোই এখন পরিচিত দৃশ্য। সে মোদি হোক বা অমিত শাহ। নাড্ডা হোক বা আদিত্যনাথ। লোক হচ্ছে না কারোর জনসভায়। রাজ্যের নেতারা তো জনসভা করা প্রায় ছেড়ে দিয়েছেন। কিছুদিন খুব চা পর্ব শুরু হলেও তাও আর দেখা যাচ্ছে না।

Facebook Comments Box

সম্পর্কিত পঠিত খবর

সর্বশেষ খবর