এনবিটি ডেস্ক : গত মার্চ মাসে দিল্লির নিজামউদ্দিন মারকাযে অনুষ্ঠিত হওয়া ইজতেমায় অংশ নেওয়া আরো ৩৬ জন তাবলীগী সদস্যকে বেকসুর খালাস দিল দিল্লির একটি আদালত। গতকাল দিল্লির মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট অরুণ গর্গ ১৪ দেশের এই ৩৬ জন তাবলীগী সদস্যের বেকসুর খালাসের পক্ষে রায় প্রদান করেন।
দিল্লির নিজামউদ্দিন মসজিদে অনুষ্ঠিত হওয়া ওই ইজতেমাতে বিভিন্ন দেশের প্রায় সাড়ে তিন হাজার বিদেশি অংশ নিয়েছিলেন। যাদের মধ্যে ৯০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে পুলিশ। এই বিদেশিদের কালো তালিকার ও অন্তর্ভুক্ত করে ভারতের নির্দেশ মন্ত্রক। মামলার সম্মুখীন হওয়া বেশিরভাগ বিদেশি বিভিন্ন সময় আবেদনের ভিত্তিতে তাদের দেশে ফেরত গিয়েছেন কিন্তু ৪৪ জন ভারতে বন্দী ছিলেন। এদের বিরুদ্ধে করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি ভঙ্গ এবং ভিসা আইন লংঘনের অভিযোগ আনে দিল্লি পুলিশ। তবে প্রমাণের অভাবে ইতিমধ্যে ৮ জনকে অব্যাহতি দিলেও এই ৩৬ জন এত দিন বন্দী ছিল।
উল্লেখ্য গত মার্চে অনুষ্ঠিত হওয়া ওই অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বহু মানুষ অংশগ্রহণ করেন। সেই সময় করোনার প্রাদুর্ভাব ভারতে তেমনভাবে না দেখা দেয়নি। কিন্তু পরবর্তীতে দেশের মুসলিম বিরোধী সাম্প্রদায়িক শক্তি এবং বিজেপি ঘনিষ্ট সংবাদমাধ্যম করোনা বিস্তারের জন্য তাবলীগীদের তথা ভারতের সমগ্র মুসলিম সম্প্রদায়কে দায়ী করে। যেসব রাজ্যে বিজেপি সরকার আছে বিশেষ করে সেই সব রাজ্য থেকে ওই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করা তাবলীগী সদস্যদের বিরুদ্ধে আইপিসি এর বিভিন্ন ধারায় মামলা করে পুলিশ। এমনকি ইচ্ছাকৃত ভাবে সংক্রামক রোগ ব্যাধি ছড়ানো এবং হত্যার প্রচেষ্টার অভিযোগ আনা হয় পুলিশের তরফে। তবে পরবর্তীতে বিভিন্ন আদালতের রায়ে তাবলীগী সদস্যদের বিরুদ্ধে আনা বেশিরভাগ অভিযোগ ভিত্তিহীন এবং অভিসন্ধি মূলক বলে প্রমাণিত হয়। এমনকি সুপ্রিম কোর্ট ও এই ষড়যন্ত্রমূলক অপপ্রচারের জন্য সংবাদমাধ্যম গুলোকে ভর্ৎসনা করে এবং এই ব্যাপারে কেন্দ্রের নীরবতার সমালোচনা করে।