উজ্জ্বল দাস, আসানসোলঃ এবার সুন্দরবনের পাশে শিল্পাঞ্চল। এবার আর ত্রাণ নয়, ম্যানগ্রোভ বাঁচানোর আন্দোলনে সামিল হতে। ঝড়খালির সবুজ বাহিনীর মহিলাদের পাশে দাঁড়ালেন বার্নপুর নববিকাশ ক্লাব ও আসানসোল পৌরনিগম। পুজোর মুখে সবুজ বাহিনীর ২০০ সদস্যের জন্য নতুন শাড়ি ও পড়ুয়াদের জন্য ব্যাগ নিয়ে গেলেন তাঁরা। রবিবার ঝড়খালিতে থেকে আসানসোলবাসীও মাতলার পরিত্যক্ত চড়ে লাগাবেন ম্যানগ্রোভ। শনিবার রওনা হলেন বার্নপুরে নববিকাশ ক্লাবের সদস্যরা।
সুন্দরবনের পাশে ম্যানগ্রোভ ম্যানগ্রোভ যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা ফের ইয়াসের সময় টের পেয়েছে সুন্দরবনবাসী। রাজ্য সরকাকেরর পক্ষ থেকে ম্যানগ্রোভ রোপণের উপরে জোর দেওয়া হয়েছে এবার। এবার মাতলা নদীর পরিত্যক্ত চরে রোপণ করা হচ্ছে ২ লাখ ম্যানগ্রোভ। মাতলা অঞ্চলের ২০০ মহিলা বিনা পারিশ্রমিকে রোপন করছেন বিভিন্ন প্রজাতির ১০ হাজার ম্যানগ্রোভের বীজ। সুন্দরবনের গরান, হেতাল, কেওড়া, সুন্দরি, ধুন্দল, খলসি, তরা সহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ১০ হাজার বীজ রোপণ করছেন ‘ম্যানগ্রোভ প্রমিলা বাহিনী’। বার্নপুরের ক্লাব কর্তাদের দাবি, ম্যানগ্রোভকে ভালোবেসে প্রমিলা বাহিনী ম্যানগ্রোভ বীজ রোপণের কাজে এগিয়ে আসছেন। যেহেতু এই বীজ রোপণের কাজে তারা কোন মজুরি নিচ্ছেন না। বাড়ির কাজকর্ম সেরে অবসর সময়ে এই সমস্ত মহিলারা এগিয়ে এসেছেন সুন্দরবনের প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার্থে এবং ভূমিক্ষয় রোধে। তাই তাঁদের পাশে এক অরণ্য ভালোবাসা নিয়েই পৌঁছাতে চান। সুন্দরবন বাঁচানোর যে বার্তা তাঁরাও তাঁদের সঙ্গে সামিল হয়ে রাজ্যে পৌঁছে দিতে চান।
এর আগে করোনার প্রকোপে লকডাউনে রাজ্য জুড়ে ত্রানের কাজে ঝাঁপিয়ে পড়তে দেখা গেছে বার্নপুরে এই ক্লাব সদস্যদের। তাঁরাই প্রথম পুজোয় বাজেট কাটছাট করে কোভিড রোগীদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। সামাজিক বার্তা দিতে ফুটবল টুর্ণামেন্টে সুন্দরী গোরানের ম্যাসকট বানিয়েছিলেন। এবার ম্যানগ্রোভ রোপন আন্দোলনেও সামিল হলেন। এই কাজে সহযোগিতা করেছেন আসানসোল পুরনিগমের পুরপ্রশাসক অমরনাথ চট্টোপাধ্যায় ও বিধায়ক তথা এডিডিএ চেয়ারম্যান তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়।