এনবিটিভি ডেস্কঃ আজ মঙ্গলবার চলমান হিজাব বিতর্কের কর্ণাটক হাইকোর্ট রায় দিয়েছে। এরপরেই পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান ও এম এ সালাম হিজাব নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে আবেদনগুলি খারিজ করে কর্ণাটক হাইকোর্টের রায়ে গভীর হতাশা প্রকাশ করে বলেন, হিজাব ইসলামের অবিচ্ছেদ্য অংশ, ধর্মীও বিষয়ের ব্যাখ্যা আদালতকে করা উচিত নয়।
কর্ণাটক হাইকোর্ট মুসলিম ছাত্রীদের আবেদন খারিজ করে দিয়ে বলা হয়েছে যে, হিজাব ইসলামের অপরিহার্য অংশ নয়। তা গভীরভাবে হতাশাজনক বলে মনে করে পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া। এদিনের রায়টি মৌলিক অধিকার এবং বহুত্ববাদের সাংবিধানিক মূল্যবোধের চেতনার পরিপন্থী বলে মনে করেন তারা।
পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান আরও জানান, দেশের মুসলিম নারীরা হিজাব তাদের বিশ্বাস ও পরিচয়ের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে ধরে রেখেছে, অন্যদিকে তাদের অনুভূতির প্রতি আদালতের সংবেদনশীল ও মর্মান্তিক এই রায়।
Disappointed by Karnataka HC decision. Hijab is and always has been essential part of Islam for Muslims as per their understanding of their texts. That's not going to change. It's not up to the courts to decide, especially in a democratic country.#HijabRow#KarnatakaHighCourt pic.twitter.com/ky2Wtd438n
— O M A Salam (Chairman, PFI) (@oma_salam) March 15, 2022
তিনি বলেন, “আদালত ধর্মীয় গ্রন্থের ব্যাখ্যা করে একটি নতুন নজির স্থাপন করছে। এমন একটি প্রথার বিরুদ্ধে আদালত রায় দিয়েছে যেখানে ইসলাম ধর্মের গ্রন্থকে ভালোভাবে মন্থন করলে হিজাব পড়ার ব্যপারে স্পষ্ট আছে বলে মনে করেন সংখ্যাগরিষ্ঠ ইসলাম ধর্মের অনুসারীরা।
এই রায় মেনে নেওয়া যায় না। আদালতের নিকট প্রশ্নটি মূলত মুসলিম মহিলাদের তাদের পছন্দের পোশাক পরার মৌলিক অধিকার সম্পর্কে ছিল, ইসলামে যা অপরিহার্য বা অপ্রয়োজনীয় তা নয়। একটি গণতান্ত্রিক দেশে ধর্মীও গ্রন্থ ব্যাখ্যা করার অধিকার সেই ধর্মের বিশ্বাসীদের উপর ছেড়ে দেওয়া উচিত ছিল।
হিজাবকে গেরুয়া শালের সঙ্গে তুলনা করে আদালত সঙ্ঘ পরিবারের কৌশলে ফাঁদে পড়ে গেছে। আরও একটি বিষয় আছে, যে রায়টি ডানপন্থী হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীগুলির জন্য বৈধতা অনেকটা সুবিধা করে দেবে যাতে তারা মুসলিম মহিলাদের পছন্দের পোশাক নিয়ে হয়রানি চালিয়ে যেতে পারে।
এদিনের হাইকোর্টের রায়কে পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া কোনভাবে মেনে নেবে না বরং প্রত্যাখ্যান করেছে বলে জানায়। এই রায়ের চ্যালেঞ্জ করার জন্য যৌথভাবে আইনি ও গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আহ্বান জানান সুশীল সমাজকে।