কর্ণাটকে ‘হিজাব বিতর্ক’ বিজেপির স্পন্সর, অভিযোগ এসডিপিআই-এর

NBTV ONLINE DESK

NBTV ONLINE DESK

এসডিপিআই ও বিজেপি দলের পতাকা।
এসডিপিআই ও বিজেপি দলের পতাকা।

এনবিটিভি ডেস্কঃ  ভারতীয় সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এসডিপিআই) বুধবার বিজেপির বিরুদ্ধে কর্ণাটকের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব-জাফরান শাল ইস্যুকে ‘স্পন্সর’ এবং ‘প্রচার’ করার অভিযোগ এনে তুলোধোনা করে।

সাংবাদিকদের সম্বোধন করে এসডিপিআই রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক বি আর ভাস্কর প্রসাদ অভিযোগ করে বলেন, “পুরো বিষয়টি রাজ্যের বিজেপি সরকার দ্বারা স্পনসর করা একটি অপরাধমূলক কাজ।”

এসডিপিআই রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক উল্লেখ করে বলেন, “সংবিধান কখনও মুসলিম মহিলাদের হিজাব পরতে বাধা দেয়নি। তিনি অভিযোগ করেন যে, এই সমস্যাটি একটি কলেজের অধ্যক্ষ দ্বারা তৈরি করা হয়েছিল যা পরে সংঘ পরিবারের সংগঠনগুলি  কাঁধে তুলে নিয়ে সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার কাজ করছে।”

সাধারণ সম্পাদক প্রশ্ন তুলে বলেন, “কেন হিজাবকে একটি ধর্মীয় প্রতীক হিসাবে নিষিদ্ধ করা উচিত? যেখানে কলেজের মধ্য হাতে ধাগা সহ অন্যান্য হিন্দু প্রতীকগুলি পড়ে আসা যায়।”

এসডিপিআই রাজ্য সভাপতি আবদুল মজিদ বলেন, “হাইকোর্টের অন্তর্বর্তী আদেশ শুধুমাত্র সেই কলেজগুলির জন্য প্রযোজ্য যেখানে উন্নয়ন কমিটিগুলি একটি ড্রেস কোড নির্ধারণ করেছে৷ আদেশ নিয়ে জেলা প্রশাসন ও শিক্ষা বিভাগ বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।”

তিনি কংগ্রেসের সমালোচনা করে বলেন, “কেপিসিসি সভাপতি ডি কে শিবকুমারের উচিত হিজাব বিষয়ে কংগ্রেসের অবস্থান স্পষ্ট করা। সংখ্যালঘু ভোট চাইলেও কংগ্রেস দলটি মুসলমানদের সমস্যা সমাধান করতে চায় না।”

এদিকে ন্যাশনাল উইমেনস ফ্রন্ট পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার (পিএফআই) মহিলা শাখা অভিযোগ করেছে যে, “হিজাব ইস্যুতে মুসলিম মেয়েরা মানসিক হয়রানির শিকার হচ্ছে।”

ন্যাশনাল উইমেনস ফ্রন্টের পক্ষ থেকে দাবী করা হয় যে,  “হিজাব বিতর্কের আদেশটি প্রাক-বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও কর্তৃপক্ষ অন্যান্য কলেজের ছাত্র এবং শিক্ষকদেরও পাবলিক প্লেসে তাদের মাথার স্কার্ফ সরাতে বাধ্য করছে। এই ধরনের কাজ মুসলিম শিক্ষার্থীদের মৌলিক অধিকারকে অস্বীকার করার সমান।”

Facebook Comments Box

সম্পর্কিত পঠিত খবর

সর্বশেষ খবর