হামাসের রকেট ঠেকাতে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে ইসরাইল

NBTV ONLINE DESK

NBTV ONLINE DESK

IMG_20210519_120022

নিউজ ডেস্ক : অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজায় ইসরাইলি সামরিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ও অন্য সশস্ত্র সংগঠনগুলোর ছোড়া রকেট হামলার ঘটনায় বিশ্বের সংবাদমাধ্যমে শীর্ষ আলোচনার বিষয়ে পরিণত হয়েছে ‘হামাসের রকেট।’ হামাসের রকেট হামলা থেকে পুরো ইসরাইল ভূখণ্ডকে প্রতিরক্ষায় বিপুল অর্থ ব্যয়ে মোতায়েন করেছে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ‘আয়রন ডোম।’ যার প্রত্যেকটা মিসাইলের মূল্য কয়েক প্রায় ১ লাখ ডলার। যেখানে হামাসের তৈরি একটি রকেটের দাম মাত্র ৫০০ ডলার মতো।

যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনবিসির প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের তথ্য অনুসারে আয়রন ডোমের এক ইউনিট প্রস্তুত করতেই খরচ হয় পাঁচ কোটি ডলার (বাংলাদেশী মুদ্রায় চার শ’ ২৩ কোটি টাকার বেশি)।

গাজা নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের রকেটগুলো খুব একটা আধুনিক নয়। কিন্তু সেগুলো রুখতে গিয়ে বহুল আলোচিত আয়রন ডোম বিমান প্রতিরক্ষাব্যবস্থা মোতায়েন করতে গিয়েই মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছে ইসরাইল। আবার এত বিপুল ব্যয় করেও তারা হামাসের সব রকেট ধ্বংস করতে পারছে না। এবারের যুদ্ধে হামাসের অনেক রকেট ইসরাইলের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে আঘাত হেনেছে।

ইসরাইলের আয়রন ডোমকে ফাঁকি দিয়ে যেসব স্পর্শকাতর স্থানগুলোতে হামাসের রকেট আঘাত হেনেছে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে তেল আবিব, একটি পাইপলাইনের কাছে ও বেন গুরিয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকা। এর ফলে ৫ ইসরাইলি নাগরিক নিহত হয়েছেন এর মধ্যে ২ সেনা ও রয়েছে।

ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ ও প্রকৌশলী উজি রুবিন ডেইলি সাবাহকে বলেন, এবার হামাস যেসব রকেট নিক্ষেপ করেছে, সেগুলো ২০১৪ সালের চেয়ে অনেক উন্নত। আর এবারই হামাস ইসরাইলের অনেক গভীরে হামলা চালাতে সক্ষম হয়েছে।

রুবিন বলেন, প্রযুক্তিগত দিক থেকে ২০১৪ সালের চেয়ে ২০২১ সালের হামাসের রকেটে খুব বেশি উন্নতি হয়নি। কিন্তু তীব্রতা ও সংখ্যার দিক থেকে অনেক উন্নতি করেছে।
তিনি বলেন, এছাড়া প্রমাণ হয়েছে যে আয়রন ডোমের মতো প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাটি লিকপ্রুফ নয়।

আয়রন ডোম ৮০ ভাগ থেকে ৯০ ভাগ রকেট ধ্বংস করতে পারে। কিন্তু ১০ ভাগ তো আঘাত হানে। আয়রন ডোমকে ফাঁকি দিতে এবার হামাস একসাথে বিপুলসংখ্যক রকেট নিক্ষেপ করেছে। ফলে আয়রন ডোমের অকার্যকারিতাও প্রমাণিত হয়েছে।

ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর দাবি অনুযায়ী, গাজা উপত্যকা থেকে এ পর্যন্ত তিন হাজারের বেশি রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছে। ফলে এই বিশাল সংখ্যক রকেট প্রতিরোধ করতে ইসরাইলের বহু সংখ্যক মিসাইল ফায়ার করতে হয়।

 

Facebook Comments Box

সম্পর্কিত পঠিত খবর

সর্বশেষ খবর