মোদির ব্যর্থতা ঢাকতে আবার সাম্প্রদায়িক তাস কেন্দ্রের! শুরু বিদেশি অমুসলিমদের নাগরিকত্ব প্রদান

NBTV ONLINE DESK

NBTV ONLINE DESK

mcms

নিউজ ডেস্ক : ভারতের ইতিহাসে সব থেকে খারাপ অবস্থায় পতিত হয়েছে দেশ বর্তমানে মোদি সরকারের চরম ব্যর্থতার কারণে। দেশের অবস্থা এতটাই সঙ্গীন যে কেনিয়ার মতো দরিদ্র দেশ থেকেও সাহায্য নিচ্ছে দেশবাসীকে সুপার পাওয়ার করার স্বপ্ন দেখানো বিজেপি সরকার। করোনা আক্রমণে মৃত্যু মিছিল অব্যাহত, সংক্রমণ বিশ্বের মধ্যে সর্বাধিক। চরম পর্যায়ে পৌঁছে গেছে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য। এই সব ব্যর্থতার ফল ও হাতে পেয়েছে সাম্প্রদায়িক শক্তি। লজ্জাজনক হার হয়েছে তিনটি রাজ্যে। কিন্তু এবার ভোট আসছে গোবলয়ের রাজ্য উত্তর প্রদেশে যেখানে গুন্ডা রাজ কায়েম করেছে যোগী, অভিযোগ বিরোধীদের। মোদি ম্যাজিক এখন অতীত। তাই ভরসা বিজেপির মূল অস্ত্র শুধু মাত্র সাম্প্রদায়িকতার ওপর। সেই উদ্দেশ্যেই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন প্রয়োগ করা শুরু করল অমিত শাহের অধিনস্ত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।

জানা গিয়েছে, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে আসা ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়–হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ও জৈন সম্প্রদায়ের শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে কেন্দ্রের মোদি সরকার। এই মর্মে গুজরাট, রাজস্থান, ছত্তিশগড়, হরিয়ানা ও পাঞ্জাবের মোট ১৩টি জেলায় বসবাসরত মুসলিম ছাড়া সব ধর্মীয় শরণার্থীদের নাগরিকত্ব পেতে আবেদন জানানোর নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এই মর্মে এদিন একটি নির্দেশিকা জারি করেছে অমিত শাহের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। সেখানে অবলিম্বে ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইন এবং ২০০৯ সালে নিয়ম অনুযায়ী এই নির্দেশকে কার্যকর করতে বলা হয়েছে। কারণ, ২০১৯ সালে আইনে পরিণত হলেও, এখনও পর্যন্ত সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন সংক্রান্ত নিয়ম প্রণয়ন করেনি কেন্দ্র।

প্রসঙ্গত, মুসলিম দেশগুলি থেকে তথাকথিত নিপীড়িত হয়ে আসা সংখ্যালঘুদের জন্য তৈরি নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন এখনও বলবৎ করা হয়নি। ফলে এই গোটা প্রক্রিয়া নিয়ে কিছুটা ধোঁয়াশা রয়েছে। এখনই কার্যকর হচ্ছে না সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বা CAA। মোদি সরকারের আশ্বাস সত্বেও গত ফেব্রুয়ারি মাসে এই আইন (CAA) কার্যকর করার সময়সীমা আরও বেড়েছে। চলতি বছরে এই আইন কার্যকর করার কথা ছিল। কিন্তু সেই সময়সীমা আরও তিন মাস বাড়িয়ে দেয় সংসদীয় কমিটি। তাদের নয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ৯ এপ্রিল থেকে ৯ জুলাইয়ের মধ্যে কার্যকর করতে হবে এই নাগরিকত্ব আইন। তবে বিশেষজ্ঞ মহলের ধারণা সব ক্ষেত্রে মোদির ব্যর্থতা চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে এখন। তাই সেই দিক থেকে জনগণের নজর ঘোরাতে এই উদ্যোগ মোদির চাণক্যের। উল্লেখ্য, রাজ্যগুলিতে ভোটে লজ্জাজনক হারের পর আর দেখা যায়নি অমিত শাহকে। এবার সেই তার মূল অস্ত্র সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে বাইরে আসতে চলেছেন অমিত শাহ।

Facebook Comments Box

সম্পর্কিত পঠিত খবর

সর্বশেষ খবর