এনবিটিভি ডেস্কঃ ৪২ বছর বয়সী ওসামা খান গত দুই বছর ধরে কারাগারে বন্দী। আজমগড়ের বিলারিয়াগঞ্জ এলাকায় সিএএ-বিরোধী বিক্ষোভের জন্য ২০২০ সালের মার্চ মাসে তাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছিল।
একই মামলায় স্থানীয় ইসলামী মাওলানা তাহির মাদানিসহ প্রায় ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তারা সবাই চার মাসের মধ্যে জামিন পান। কিন্তু ওসামা খান গত ২৪ মাসে নিজের জন্য জামিন নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছেন।
উল্লেখ্য, নিম্ন আদালত দুইবার তার জামিনের আবেদন খারিজ করেছে। তিনি এখন এলাহাবাদ হাইকোর্টে গেছেন। ওসামা খান এবং অন্যান্য সহ-অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ১২৪-এ(রাষ্ট্রদ্রোহ), ১৫৩-এ (শত্রুতা প্রচার করা), ৩৩২ (স্বেচ্ছায় সরকারি কর্মচারীকে তার দায়িত্ব থেকে বিরত করার জন্য আঘাত করা), ১৮৬ (সরকারি কর্মচারীকে বাধা দেওয়া) সহ আইপিসির ১৯ ধারার অধীনে মামলা করা হয়েছিল তাদের বিরুদ্ধে।
উল্লেখ্য, ওসামা খান একজন কৃষক শ্রেণীর মানুষ। তার ছোট ভাই হাসান বলেন, তিনি তার পরিবারের সবার কাছে একজন অভিভাবকের মতো ছিলেন। তার অবর্তমানে সংসার নানা সংকটের মধ্যে দিয়ে চলছে।
হাসান বলেন, “এটা আশ্চর্যজনক যে মামলার প্রধান অভিযুক্ত মাওলানা তাহির মাদানিকে জামিন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ওসামা প্রধান আসামি নন, তাকে জামিন দিতে অস্বীকার করা হচ্ছে।”
তিনি এনজিও ও সুশীল সমাজের সংগঠনগুলির কাছে আরও আবেদন করেছিলেন যে, ওসামার ব্যাপারে কিছু ব্যবস্থা নেন যাতে তিনি জেল থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন।