লকডাউনে প্রায় ২১ শতাংশ মানুষ অভুক্ত অবস্থায় ঘুমিয়েছেন মোদির গুজরাটে

NBTV ONLINE DESK

NBTV ONLINE DESK

d06e24b167c845bba42411d972ef5983_18

নিউজ ডেস্ক : গুজরাটের অর্থনৈতিক উন্নয়নের গল্প শুনিয়ে, তথাকথিত গুজরাট মডেলের প্রচার করে এবং গুজরাটের উন্নত আর্থসামাজিক অবস্থার গল্প শুনিয়ে সারা ভারতে নির্বাচনী প্রচারের মাধ্যমে নরেন্দ্র মোদী নিজের প্রধানমন্ত্রীত্বের পথ সুগম করেছিলেন ২০১৪ সালে। সেই লোকসভা নির্বাচনে মোদির বিজয়ে গুজরাট মডেলের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করেন। কিন্তু মাঝে মাঝেই বিভিন্ন সংস্থা এমনকি কেন্দ্রের নীতি আয়োগ, বিশ্ব ব্যাংক এবং আইএমএফের বিভিন্ন সমীক্ষায় আর্থসামাজিক অবস্থা, শিশুমৃত্যু, নারীর ক্ষমতায়ন, স্বচ্ছতা, দুর্নীতি হীনতা ইত্যাদি বিষয়ে গুজরাটকে ভারতের অন্যান্য উন্নত রাজ্যগুলির তুলনায় অনেক পিছনের সারিতে দেখা গিয়েছে।এবার নতুন একটি সমীক্ষায় দেখা গেল বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারীর প্রকোপে ভারতবর্ষে বলবৎ করা লকডাউন এর সময় গুজরাটের প্রায় ২১% মানুষ অভুক্ত অবস্থায় রাত্রি যাপন করেছেন।

অন্ন সুরক্ষা অধিকার অভিযান নামক একটি সংগঠন সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবর মাসে গুজরাটের নয়টি উন্নত জেলাতে এই সমীক্ষা চালিয়ে ছিল তুলনামূলক আর্থিকভাবে অসচ্ছল এবং পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায় মানুষের মধ্যে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল গুজরাটের আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষের খাদ্য এবং পুষ্টির ওপর লকডাউনের প্রভাব খতিয়ে দেখা। তাদের সেই সমীক্ষায় উঠে এসেছে গুজরাটের প্রায় ২০.৬ শতাংশ মানুষ কখনো কখনো খাবারের অভাবে অভুক্ত থেকেছেন এবং ২১.৮ শতাংশ মানুষ অনেক সময় সারাদিনে কোন খাবার না খেয়ে রাত্রে ঘুমিয়ে ছিলেন।

সংস্থাটির রিপোর্টে দেখা গিয়েছে যে দরিদ্র মানুষের জন্য দেওয়া রেশন কার্ডের সাহায্যে ও অনেক ক্ষেত্রে তারা তাদের জন্য বরাদ্দ খাদ্যশস্য সংগ্রহ করতে পারেননি।

এই রিপোর্টে সরকারকে পরামর্শ দেয়া হয়েছে, যেহেতু করো না পরিস্থিতির মধ্যে লকডাউন এর প্রভাবে সাধারণ মানুষের জীবনধারণ ব্যাপকভাবে বিঘ্নিত হয়েছে যার ফলে তাদের খাদ্য সুরক্ষা প্রভাবিত হয়েছে তাই গ্রামীণ এবং শহর এলাকায় তুলনামূলক আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষদের ১০০ দিনের কাযে দ্রুত নিয়োগ করা হোক।

Facebook Comments Box

সম্পর্কিত পঠিত খবর

সর্বশেষ খবর