ইসরাইলের একটি হাই সিকিউরিটি কারাগার থেকে ছয় ফিলিস্তিনি পালিয়ে গেছেন। এদের মধ্যে পাঁচজন ইসলামিক জিহাদ গ্রুপের সদস্য এবং একজন ফিলিস্তিনি প্রধান দল ফাতাহ গ্রুপের সাবেক কমান্ডার বলে জানা গেছে।ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেত এটাকে ‘ভয়াবহ ঘটনা’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
খবরে বলা হয়েছে, উত্তর ইসরাইলের গিলবোয়া কারাগার থেকে সুড়ঙ্গ দিয়ে ছয়জন পালিয়ে গেছেন। তারা একই সেলে ছিলেন।
ইসরাইলিরা ২০০৪ সালে ‘সবচেয়ে বিপজ্জনক’ ফিলিস্তিনি বন্দীদের রাখার জন্য এই কারাগার নির্মাণ করেছিল।
ইসরাইলি কারা সূত্র জানায়, সোমবার ভোর ১.৩০-এ তারা পালানোর কাজ শুরু করে। আর পুলিশ তাদের পালানোর খবর পায় ভোর ৩টার দিকে।
ইসরাইল প্রিজন সার্ভিসেস (আইপিএস) নর্দার্ন কমান্ডার বলেন, টয়লেট ফ্লোরের একটি গর্ত দিয়ে তারা পালানোর পথ খুঁজে নেয়। কারাগারটি নির্মাণের সময়ই টয়লেট পর্যন্ত ওই সুড়ঙ্গটি করা হয়েছিল।
ইসরাইলি পত্রিকা হারেজ জানায়, এক আইপিএস কর্মকর্তা ঘটনাটিকে ‘বড় ধরনের নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা ব্যর্থতা’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
পালিয়ে যাওয়া ছয়জনের মধ্যে চারজন যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত ছিলেন।
ইসরাইলি মিডিয়ার খবরে বলা হয়, পালিয়ে যাওয়া একজন হলেন জাকারিয়া জুবেইদি। তিনি পশ্চিম তীরের জেনিন নগরীর ফাতাহ আল আকসা মাটার্স ব্রিগেডের সাবেক কমান্ডার।
সুড়ঙ্গটি কারাগারের প্রাচীর থেকে কয়েক মিটার দূরে গিয়ে শেষ হয়েছিল। এটি আগাছা দিয়ে ঢাকা ছিল।
তারা চোরাই মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বাইরের লোকদের সাথে যোগাযোগ করেছিল। ওই লোকেরা ওই স্থানে তাদের জন্য একটি গাড়ি নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন। নিরাপত্তা বাহিনী তাদের জন্য তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে গাজা পরিচালনাকারী হামাসের এক মুখপাত্র ফাউজি বারহম বলেছেন, এই মহান বিজয় আবারো প্রমাণ করছে যে কারাগারের ভেতরে আমাদের সৈন্যদের ইচ্ছাশক্তি ও দৃঢ়প্রত্যয়কে শত্রুরা দমন করতে পারেনি।
সূত্র : নয়া দিগন্ত