মক্কার গ্র্যান্ড মসজিদে ফিরলো জমজমের পানি

NBTV ONLINE DESK

NBTV ONLINE DESK

1634127549_210723-Hajj_17ad0ba2125_large

 

১৮ মাসেরও বেশি সময় বিরতির পর মক্কার গ্র্যান্ড মসজিদে স্থাপিত মার্বেল পাথরের উপরে রাখা জমজমের পানি ভরা পাত্রগুলো আবারও তীর্থযাত্রী এবং মুসল্লিদের জন্য উপলব্ধ হলো।

 

দুটি পবিত্র মসজিদের প্রেসিডেন্সি করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের পরে মুসল্লি ও দর্শনার্থীদের পরিবেশন করার জন্য গ্র্যান্ড মসজিদে জমজমের পানির ১৫৫ টি স্থির মার্বেল স্টেশন (মাশরাবিয়া) এবং ২০ হাজার কন্টেইনার পুনরায় স্থাপণ করেছে। ২০২০ সালের প্রথম দিকে কোভিড-১৯ মহামারীর প্রাদুর্ভাবের পর কর্তৃপক্ষ পানি সরবরাহ করা বন্ধ করে দেয়।

 

মহামারী চলাকালীন সময়ে, প্রেসিডেন্সি বিপুল সংখ্যক কর্মীকে নিযুক্ত করেছিলেন পবিত্র পানিকে সীলমোহর, জীবাণুমুক্ত এবং একক ব্যবহারের বোতলে ভরে মাতাফে (পবিত্র কাবার আশেপাশের এলাকা), মাসা (সাফা এবং মারওয়াহ পাহাড়ের মধ্যে দৌড়ানোর জায়গা) , পাশাপাশি গ্র্যান্ড মসজিদের ভিতরে বিভিন্ন স্থানে বিতরণের জন্য। প্রেসিডেন্সির ডেপুটি হেড মোহাম্মদ আল জাবরি বলেন, ‘করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে টিকাদানের হার বৃদ্ধির পর মাশরাবিয়া এবং কন্টেইনার পুনরুদ্ধারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘এই সিদ্ধান্ত ওমরাহ হজযাত্রী এবং গ্র্যান্ড মসজিদে দর্শনার্থীদের করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে সমস্ত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা এবং প্রতিরোধমূলক প্রোটোকল মেনেই নেয়া হয়েছে।’

তীর্থযাত্রী ও মুসল্লিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জমজমের পানির পাত্র নিয়মিত পরিস্কার ও জীবাণুমুক্ত করা হয়। গ্র্যান্ড মসজিদে জমজম ওয়াটারিং বিভাগের পরিচালক আব্দুর রহমান আল জহরানি বলেন, তার বিভাগ মসজিদে দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা রক্ষার লক্ষ্যে পাত্র পরিষ্কার এবং জীবাণুমুক্ত রাখার চেষ্টা করে। ধোয়ার প্রক্রিয়াটি পাঁচটি ধাপের মধ্য দিয়ে যায়, তিনি বলেন, পরিষ্কার করার জন্য একটি নির্দিষ্ট, সুগন্ধি মুক্ত সাবান ব্যবহার করা হয়। পর্যায়গুলোর মধ্যে রয়েছে জীবাণুমুক্তকরণ, শুকানো এবং সংরক্ষণ করা। কনটেইনারগুলো নির্দিষ্ট গাড়িতে করে গ্র্যান্ড মসজিদের ফিলিং পয়েন্টে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি বলেন, মসজিদ কমপ্লেক্সের ভিতরে বিশেষ যন্ত্রপাতির সাহায্যে পুরো কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

সূত্র : ডেইলি ইনকিলাব

Facebook Comments Box

সম্পর্কিত পঠিত খবর

সর্বশেষ খবর