খেতে দেয় না বৌমা, অত্যাচারে ঘরছাড়া বৃদ্ধা শ্বাশুড়ি

NBTV ONLINE DESK

NBTV ONLINE DESK

IMG-20200625-WA0015

নিজস্ব সংবাদদাতা, এনবিটিভি, হরিশ্চন্দ্রপুর: শেষ বয়সে একমাত্র ছেলেই ছিল তার ভরসা। অন্তিম বয়সে এসে সব আশা শেষ।এখন লাঠি তার একমাত্র অবলম্বন।ছেলে বিয়ে করে শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে সংসার পেতেছে।স্বামী মারা গেছে সাত বছর আগে। বয়সের ভাড়ে নুয়ে পড়েছে বৃদ্ধা। ঠিক ভাবে হাঁটাচলা করতে পারে না।এক চোখ অন্ধ। বৌমার অত্যাচারে ঘরছাড়া বৃদ্ধা শ্বাশুড়ি। ভিক্ষা করে কোনোরকমে কাটছে দিন। খোলা আকাশের নিচে কারো দোকান ঘরের চালার নিচেই তার এখন ঠাঁই।

তসলিমা বেওয়া(৮০) নামে ওই বৃদ্ধার বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের ভিঙ্গল জিপি র বৈরাট গ্রামে। বৌমার অত্যাচারে ঘর থেকে বেরিয়ে পরেছেন বৃদ্ধা। খোঁজখবর কেউ নেই না। অনাহারে কাটছে দিন। বার্ধক্য ও চিকিৎসার অভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছে শরীর।

বৃদ্ধা তসলিমা বেওয়া জানান, তার এক ছেলে ও এক মেয়ে। ছেলে সমূহা আলি চাঁচল আশাপুরের ভেবা গ্রামে বিয়ে করে সংসার পেতেছে। স্বামী মুসলেম আলি প্রায় সাত বছর আগে মারা যায়। ছেলে বাস্তুভিটা বিক্রি করে শ্বশুরবাড়ি ভেবা গ্রামে মা কে নিয়ে চলে যায়। শুরু হয় বৌমার অত্যাচার ও গালিগালাজ। ঠিক ভাবে খেতে দেয় না ও নোংরা ভাষায় বলে অভিযোগ।তিনি আরো জানান প্রশাসনের পক্ষ থেকে বয়স্ক ও বিধবা ভাতা কিছুই পান না।

চিকিৎসক জামিউল হক জানান, বুধবার সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ এই বৃদ্ধা মহিলাটিকে হাতে লাঠি নিয়ে তুলসীহাটা বাস স্ট্যান্ডে ঔষধের দোকানের সামনে ঘোরাঘুরি করতে দেখলে চ্যামবারে নিয়ে আসে। খাওয়া দাওয়া ও সেবাযত্ন করে রাত্রে ঘুমানোর ব্যবস্থা করে দেন। বৃদ্ধা মহিলাটির পরিবারের লোকেরা
এখনো পর্যন্ত কোনো খোঁজখবর নিতে আসেনি বলে জানান।

Facebook Comments Box

সম্পর্কিত পঠিত খবর

সর্বশেষ খবর