নিউজ ডেস্ক : আফগানিস্থান সরকারি বাহিনীর সঙ্গে তালিবানের সংঘর্ষ ক্রমশ তীব্র হচ্ছে। সব জায়গায় পিছু হটছে সরকারি বাহিনী। ইতিমধ্যেই তালিবান ২০০ টির বেশী জেলা দখল করেছে। আবার এই পরিস্থিতিতে আফগান বাহিনীর জন্য এল এক খারাপ খবর। গতকাল মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, পূর্ব নির্ধারিত ১১ই সেপ্টেম্বর না বরং তার আগে আফগানিস্থানে শেষ হবে মার্কিন সেনার মিশন। ৩১ শে আগস্টের মধ্যে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার সম্পন্ন করা হবে বলে জানিয়েছেন বাইডেন। অন্যদিকে আফগানিস্তানকে আমেরিকা আর সাহায্য করবে না বলে বাইডেন জানিয়েছেন। ফলে বেকায়দায় পড়েছে আশরাফ ঘানি সরকার।
উল্লেখ্য, পেন্টাগন সূত্রে জানা গিয়েছে যুদ্ধ বিদ্ধস্ত আফগানিস্তান থেকে ইতিমধ্যেই প্রায় ৯০ শতাংশ সেনা এবং মার্কিন যুদ্ধাস্ত্র প্রত্যাহার সম্পন্ন হয়েছে। আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের মতে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চরম ব্যর্থ হয়ে ফিরে যাচ্ছে সাম্রাজ্যের গোরস্থান হিসেবে পরিচিত আফগানিস্থান থেকে। কিন্তু বাইডেন বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার উদ্দেশ্য পূরণে সফল হয়েছে। আলকায়দা আর আগের মত শক্তিশালী নেই যে আমেরিকায় হামলা চালাতে পারে। তবে তিনি তালিবানের ক্রমশ শক্তিশালী হওয়ার ব্যাপারে মার্কিন ব্যর্থতার কথা স্বীকার করেননি। তিনি বলেন, আমরা যে উদ্দেশ্যে গিয়েছিলাম তা সফল হয়েছে। তাই আমেরিকার আরো একটা প্রজন্মকে আফগানিস্থানে যুদ্ধ করতে পাঠাবো না। ২০ বছর আগের পরিস্থিতিতে উদ্ভুত মার্কিন নীতি এখনও অনুসরন করার কোনো যুক্তি হয় না।
আফগানিস্তানে এখন কালা-ই-নাউ দখল নিয়ে আফগান সেনা ও তালেবানের মধ্যে লড়াই চলছে। গত বুধবার উভয় পক্ষের মধ্যে প্রচণ্ড লড়াইয়ের পর গতকাল বৃহস্পতিবার শহরটির রাস্তায় রাস্তায় তালেবান যোদ্ধাদের মোটরযানে করে টহল দিতে দেখা গেছে। তালেবানের কাছ থেকে শহরটির নিয়ন্ত্রণ ফেরত পেতে সেখানে শত শত কমান্ডো পাঠিয়েছে আফগান সরকার।
আফগান প্রতিরক্ষামন্ত্রী বিসমিল্লাহ মোহাম্মাদি স্বীকার করেছেন যে তালেবানের সঙ্গে যুদ্ধ তীব্রতর হচ্ছে। এই অবস্থায় মার্কিন সেনা প্রত্যাহার উদ্বেগ বাড়িয়েছে ঘানি সরকারের। আবার বাইডেন জানিয়েছেন, আমরা আফগানিস্থানে নির্দিষ্ট কারণে গিয়েছিলাম। আমরা আফগানিস্থানে জাতি গঠনে যাইনি। তাদের দেশ গঠনে ভূমিকা নিতে হবে আফগানদেরকেই।