ইহুদিবাদী ইসরায়েলের দখল করা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড পশ্চিম তীরের জেরুজালেমে মসজিদুল আকসার পার্শ্ববর্তী এক মুসলিম কবরস্থান গুড়িয়ে দিয়েছে ইসরায়েলের জেরুজালেম মিউনিসিপ্যালিটি। রোববার জেরুজালেমের পুরনো শহরের আল-ইউসুফিয়া কবরস্থানটির বেশ কিছু কবর ধ্বংস করে মিউনিসিপ্যালিটি কর্তৃপক্ষ।
এই কবরস্থানটি জেরুজালেমের অন্যতম পুরনো কবরস্থান। তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সিকে কমিশন ফর প্রটেকশন অব মুসলিম গ্রেভসের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আহমদ আল-দাজানি বলেন, ইসরায়েলি প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগকে দখলদার আদালত কবরস্থানের কাছাকাছি এলাকায় অনুসন্ধান চালানোর অনুমতি দেয়।
ওআইসির পক্ষ থেকে মামিলা ও আল ইউসুফিহ কবরস্থানের পবিত্রতার বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে। এ মুসলিম কবরস্থানগুলো এক হাজার বছরের পুরোনো। এ কবরস্থান ধ্বংসের বিষয়ে ওআইসির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অধিকৃত জেরুসালেমে মুসলমানদের বিভিন্ন পবিত্রস্থান, সাংস্কৃতিক স্থাপনা ও মুসলিম সংস্কৃতিকে লক্ষ্য করে ইসরাইল তার নীতি প্রণয়ন করছে। ইসরাইলের এসব (ধ্বংসাত্মক) নীতির কারণে সাধারণ মুসলমানদের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে। বিশেষ করে ফিলিস্তিনিরা ইসরাইলের এসব কর্মকাণ্ডে ভীষণ ক্ষুদ্ধ।
একইসাথে ওআইসি বলেছে, সোমবার ফিফার প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনোকে দেখা গেছে যে তিনি জেরুসালেমের দ্যা মিউজিয়াম অব টলারেন্সে (সহনশীলতার জাদুঘর) ‘দ্যা ফ্রিডম্যান সেন্টার ফর পিস থ্রু স্ট্রেংথ’ নামের প্রতিষ্ঠানের উদ্বোধন করেছেন। মুসলমানদের কবরস্থান ধ্বংস করে এ স্থাপনাটি নির্মাণ করা হয়েছে। এসব কর্মকাণ্ড খেলাধুলা ও ফিফার মহৎ নীতির পরিপন্থী।
ওআইসির পক্ষ থেকে আরো বলা হয়েছে, জিয়ান্নি ইনফান্তিনোর এসব কর্মকাণ্ড ইসরাইলের দখলদারিত্বের বিরোধী।