এনবিটিভি ডেস্ক, পূর্ব বর্ধমান : এবার পূর্ব বর্ধমানের খোদ বর্ধমান শহরে শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দল সংঘর্ষের রূপ নিলো। চললো বোমাবাজিও। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই বর্ধমান পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের রসিকপুর এলাকা উত্তপ্ত হতে শুরু করে। তৃণমূল কংগ্রেসের দুই বিবদমান গোষ্ঠী একে অপরের বিরুদ্ধে শ্লোগান দিতে শুরু করে।রাত বাড়তেই দুই গোষ্ঠীই জমায়েত বাড়ায়। শুরু হয় বোমাবাজি। মুড়ি মুড়কির মত বোম পড়তে শুরু করে রসিকপুরে।
এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেস নেতা আব্দুল রবের সঙ্গে এলাকার আর এক নেতা মহম্মদ আসরাফ উদ্দিন (বাবুর] বিবাদ দীর্ঘদিনের। মাঝে মধ্যেই দু’পক্ষের মধ্যে ঝামেলা বিবাদ হয়েই থাকে। এদিন রাতে মূলত রসিকপুরের ওয়ার্ডের একটি দলীয় কার্য্যালয়ের দখল নিয়ে বিবাদের সূত্রপাত। ওই অফিসটি এতদিন দখলে ছিল তৃণমূল নেতা আব্দুল রবের। কিন্তু মাস খানেক আগে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সংখ্যালঘু সেলের সভাপতির দায়িত্ব পান মহম্মদ আসরাফ উদ্দিন।তারপর থেকেই আব্দুল রবের শিবিরে ভাঙন ধরে। শিবির বদলে অনেকেই বাবুর গোষ্ঠীতে চলে যায়। তখন থেকেই পার্টি অফিসে তালা পড়ে যায়।
এদিন আসরাফ উদ্দিন এর গোষ্ঠীর লোকজন বন্ধ থাকা ওয়ার্ডের পার্টি অফিসের দখল নিতে গেলে দু’পক্ষের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়। বোমাবাজির পাশাপাশি দু’পক্ষের লোকজনই রড লাঠি, তলোয়ার নিয়ে বেড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে বর্ধমান থানার পুলিশ যায়।পরিস্থিতি আয়ত্বে আনতে এলাকায় নামানো হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী ও র্যাফ। তৃণমূল নেতা আব্দুল রবের অভিযোগ মহম্মদ আসফার উদ্দিন জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সংখ্যা লঘু সলের সভাপতি হওয়ার পর এলাকায় তার দাপট বেড়ে যায়। এলাকা দখলের জন্য তার অনুগামীরা শুরু করে হুমকি। এদিনও জবরদস্তি পার্টি অফিসের দখল নিতে যায় বাবুর লোকজন। অন্যদিকে মহম্মদ আসফার উদ্দিন বলেন পার্টি অফিস খোলা নিয়ে সামান্য একটু গণ্ডগোল হয়েছিল তা মিটে গেছে। বিজেপি নেতা দেবাশীষ সরকার বলেন তৃণমূল কংগ্রেসের কালচার হল বোম।আজকে রাতে বর্ধমান শহরের বাসিন্দারা সেই দৃশ্য চাক্ষুস করলেন। পুলিশ এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে।