আলিয়াতে দুর্নীতি ফাঁস, অ্যাসিস্ট্যান্ট রেজিস্ট্রার পোস্ট এর ইন্টারভিউ-এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ কেরানি

NBTV ONLINE DESK

NBTV ONLINE DESK

IMG_20200625_144244

‏এনবিটিভি ডেস্ক : আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছে নিয়োাগ প্রক্রিয়া। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার পদের জন্য ইন্টারভিউ হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার আলিয়ার ইতিহাসে প্রথম অ্যাসিস্ট্যান্ট রেজিস্ট্রার পোস্টের নিয়োগের জন্য ইন্টারভিউ হতে চলেছে। এই পোষ্টের জন্য ১৯ জন আবেদনকারীকে তলব করা হয়েছে। যার মধ্যে পাঁচ জন আবেদনকারীকে নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যারা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে কেরানির পদে কর্মরত। কেরানি পদে চাকরি করে, কিভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের এসিস্টেন্ট রেজিস্টার পোষ্টের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগের ইন্টারভিউ-এ পাঁচ কর্মী ডাক পেলেন তা নিয়ে প্রশ্ন আলিয়ার অভ্যন্তরে। অথচ, বহু যোগ্য ব্যক্তি আবেদন করেও ইন্টারভিউ ডাক পাননি বলে অভিযোগ উঠেছে। যাদের মধ্যে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রশাসন পরিচালনা করার ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা রয়েছে। প্রশ্ন এখানেই কেরানি ডাক ইন্টারভিউ-এ ডাক পেলে অন্য উপযুক্ত এবং প্রশাসনিক কাজের অভিজ্ঞতা আছে তাদের লিস্ট থেকে বাদ কেনো দেওয়া হয়েছে ? এর সদুত্তর নাই আলিয়ার কর্তপক্ষের কাছে!

কেরানি পদে চাকরি করে,যদি অ্যাসিস্ট্যান্ট রেজিস্ট্রার পোস্ট এর ইন্টারভিউ ডাক পেতে পারে, তাহলে ওইসব আবেদনকারীরা ইন্টারভিউ প্যানেল থেকে কিভাবে বাদ গেলেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই, ইন্টারভিউ প্যানেল থেকে বাদ দেওয়া আবেদনকারীদের পক্ষ থেকে সংখ্যালঘু বিষয়ক ও মাদ্রাসা দপ্তরে অভিযোগ জানিয়েছে। অনৈতিক এবং বেআইনি ভাবে কেরানি পদে চাকরি করা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মীদের অ্যাসিস্টেন রেজিস্টার পোস্টে বসানোর চক্রান্ত চলছে বলে অভিযোগ। বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ও প্রাক্তন ছাত্র ছাত্রীরা এ বিষয়ে মুখ খুলতে শুরু করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন পড়–য়ারা। আবারো স্বজনপোষণের মধ্যে দিয়ে আলিয়ায় নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে বলে অভিযোগ তাদের। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মুহাম্মদ আলী বলেন, অভিযোগ আমার কাছেও এসেছে। কি হয় দেখুন।

১৯ জনের ইন্টারভিউ প্যানেল আলিয়ার যে পাঁচজন কেরানি ডাক পেয়েছেন, তারা হলেন , ফারুক শাহজাদ, নাদিয়া আক্তার ইসলাম। এই দুজন উপাচার্যের পি এ হিসাবে কর্মরত। এছাড়াও রয়েছেন, রেজিস্টার অফিসের ক্লার্ক হাফিজুর রহমান, পারচেজ বিভাগের ক্লার্ক সোহেল খান এবং ফিন্যান্স বিভাগের কেরানি শেখ হাসিবুর রহমান।

এখানে প্রশ্ন, প্রশাসন চালানোর অভিজ্ঞতা থাকা সত্বেও যোগ্য ব্যক্তিদের বঞ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাসিস্ট্যান্ট পোস্টে আলিয়ার কেরানিদের ডাকা হলো কোন স্বার্থে। সূত্রে খবর, কেরানি পদে চাকরি করলেও, বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে এনাদের নাকি প্রচন্ড দাপট রয়েছে। কথায় কথায় উপাচার্যকে কাজ বন্ধ করে দেওয়ার হুমকিও দেন তারা। বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী অশিক্ষক কর্মীদের নিয়ে এই সমস্ত ক্লার্করা সংগঠিতভাবে মাঝেমধ্যে উপাচার্য উপর চাপ সৃষ্টি করতে থাকেন। অভিযোগ সেই চাপের কাছে মাঝে মধ্যে মাথা নত করেন উপাচার্য স্বয়ং। এই সমস্ত ক্লার্কদের চাপে পড়ে অ্যাসিস্ট্যান্ট রেজিস্টার পোস্ট এর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে পরিবর্তন এনেছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আলিয়ায় কর্মরত ক্লার্কদের সুবিধা পাইয়ে দিতে বিজ্ঞাপনে বিশেষ কলম তৈরি করা হয়েছে। যার সুবাদে এই সমস্ত ক্লাকদের  অফিসার হিসেবে বিবেচনা করে আবেদনের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।

পড়–য়াদের একাংশের দাবি এই পাঁচ জনকেই অ্যাসিটেন্ট রেজিস্টার পোস্টে নিয়োগ করা হবে। একজন রেজিস্টারের পাঁচ জন সহযোগী হবেন। অসাধু উপায়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া চালানোর জন্য ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলনের ভয়ে এই লকডাউনকে কাজে লাগানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ। আগেও বহু বিষয়ে দুর্নীতির হয়েছে আলিয়াতে, অ্যাসিস্ট্যান্ট রেজিস্ট্রার নিয়োগেও সেটি হতে যাচ্ছে। দুর্নীতি আখড়ায় পরিনত হয়েছে  আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়।

Facebook Comments Box

সম্পর্কিত পঠিত খবর

সর্বশেষ খবর