সিংড়ায় বাণিজ্যিক ভাবে উন্নত জাতের ঘাস চাষে সফল আঃ মতিন

NBTV ONLINE DESK

NBTV ONLINE DESK

received_328941295482239

 

সৌরভ সোহরাব.সিংড়া(নাটোর)প্রতিনিধিঃ

শুধু গবাদী পশুর খাদ্য হিসাইে নয় মাছের বিকল্প খাদ্যের চাহিদা পুরণে নেপিয়ার ও জাম্বু নামের উন্নত জাতের ঘাস বাণ্যিজিক ভাবে চাষ শুরু করেছেন আব্দুল মতিন দুলাল নামের এক কৃষক। কৃষক আব্দুল মতিন দুলালের বাড়ি নাটোরের সিংড়া উপজেলার বিয়াশ গ্রামে। প্রায় ৭ বিঘা পরিত্যক্ত জমিতে এই উন্নত জাতের ঘাস চাষে লাভবান হচ্ছেন তিনি। আব্দুল মতিনের দেখা দেখি এলাকার অনেক বেকার যুবকরাও এগিয়ে আসছেন এই ঘাস চাষে। আজ থেকে ৩০ বছর আগে কৃষক আব্দুল মতিন ছিলেন একজন বেকার যুবক। ১৯৯২ সালে যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষন নিয়ে এই এলাকার পরিত্যক্ত পুকুর পরিস্কার পরিছন্ন করে তিনিই প্রথম মাছ চাষ শুরু করেন। মাত্র ১০ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে বেকার থেকে একজন সফল মাছ চাষী ও সচ্ছল ব্যক্তি হিসাবে প্রতিষ্ঠিত পান এবং এলাকার মানুষের কাছে মৎস্য দুলাল নামে পরিচিত লাভ করেন তিনি। আব্দুল মতিনের কাছ থেকে মাছ চাষের পরার্মশ নিয়ে অনেক বেকার যুবকরা মাছ চাষ শুরু করেন এবং তারাও সফল হন। মাছ চাষের পাশা পাশি ৪ বছর আগে শুরু করেছেন উন্নত জাতের বাছুর পালন। সেই থেকে গড়ে তুলেছেন ক্ষুদে খামার। গবাদী পশুর খাদ্য ও মাছের বিকল্প খাদ্যের চাহিদা পুরনে মাছ চাষ ও গরু খামারীর পাশা পাশি এখন বাণ্যিজিক ভাবে চাষ করছেন উন্নত জাতের ঘাস চাষ। মাত্র ৩ বছরে ঘাস চাষেও সফল আব্দুল মতিন।

আব্দুল মতিন দুলাল জানান, গøাস কার্প প্রজাতির মাছের প্রধান খাদ্য ঘাস। আমার পুকুরে এই গøাস কার্প প্রজাতি মাছের খাদ্য হিসাবে এই ঘাস দেই। ওই মাছ গুলো যখন খাবার খেয়ে মলত্যাগ করে তখন এই মলই হয় অন্য মাছের খাদ্য। এভাবে আমি মাছের বিকল্প খাদ্য হিসাবে এই ঘাস ব্যবহার করি। এছাড়া এই ঘাস বাণ্যিজিক ভাবে বিভিন্ন হাট বাজারে বিক্রয় করি। অনেকেই জমি থেকে ঘাস কিনে নেন। ঘাস চাষে আমার প্রতি বিঘা জমিতে খরচ হয় ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। বিক্রয় হয় ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা।

উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসার ডাঃ এস এম খুরসীদ আলম বলেন, সিংড়া উপজেলায় দুগ্ধ গাভী সহ ৪ লাখের বেশি গরু আছে। দিন দিন চারণ ভুমি কমে যাওয়ায় এখানে প্রাকৃতিক ঘাসের ঘারতি আছে প্রায় ১ হাজার ৫০ মেট্রিক টন। ইতোমধ্যে সারাদেশের মত এই উপজেলাতেও বাণ্যিজিক ভাবে ঘাস চাষ শুরু হয়েছে। আগ্রহী কৃষকদের মাঝে আমরা বিনামুল্যে ঘাসের কাটিং বিতরণ সহ পরার্মশ দিযে সহযোগিতা করছি। আশা করা যায় অল্প দিনের মধ্যে এই উপজেলায় ঘাসের যে ঘারতি আছে তা পুরন হবে।

 

 

Facebook Comments Box

সম্পর্কিত পঠিত খবর

সর্বশেষ খবর