মালদায় বিজেপি ও কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান শতাধিক কর্মীর

NBTV ONLINE DESK

NBTV ONLINE DESK

IMG-20200616-WA0013

গোলাম হাবিব, এনবিটিভি, মালদা: করোনা আবহে থমকে রয়েছে ভোট প্রচার। বছর ঘুরলেই ২০২১ এ রাজ্যের বিধানসভা ভোট। তার আগেই মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরে ভাঙন এবার পদ্ম ও কংগ্রেস শিবিরে। বিজেপি ও কংগ্রেস ছেড়ে এবার তৃণমূলে যোগ দিলেন প্রায় শতাধিক কর্মী সমর্থক। দলের প্রতি আস্থা হারিয়ে এরা তৃণমূলে যোগ দিলেন বৃহস্পতিবার বিকেলে এই দলবদল মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের ভিঙ্গল জিপির বটতলায়।

এদিন হরিশ্চন্দ্রপুরের বটতলায় বিজেপি ও কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়া প্রায় শতাধিক ওই কর্মী-সমর্থকদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন মালদা জেলার যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি বুলবুল খান । উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় হরিশ্চন্দ্রপুর- ১ নং ব্লকের তৃনমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান বিকাশ ব্যানার্জী ও তৃনমূল কংগ্রেসের ছাত্র পরিষদের নেতা বিমান ঝা সহ তৃণমূল নেতৃত্বের অনেকেই।

বুলবুল খান বলেন, ‘এরা তৃণমূলের নীতি, আদর্শ, শৃঙ্খলা মেনে দল করবেন। এরা আমাদের দলে যোগদান করতে চেয়ে আবেদন জানিয়েছিলেন। আমরা স্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করে এদের দলে নিয়েছি।’

অন্যদিকে, স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, আগামী ২০২১ বাংলায় বিজেপি ক্ষমতায় আসছেই। মানুষ বুঝে গিয়েছে তৃণমূল কি? উন্নয়নের নামে ক্লাবকে টাকা, উৎসব চলছে। বাংলার মানুষ ফের একবার বদল চায় বলে দাবি বিজেপির।আর সেই কারণে এবার আর তৃণমূল নয়, বিজেপিকেই ক্ষমতায় দেখতে চায়। মোদীর নেতৃত্বে বাংলার উন্নতি দেখতে চায় মানুষ। কর্মসংস্থান থেকে শিল্প, মোদীর সবকা সাথ সবকা বিকাশেই সম্ভব বলে মনে করে বিজেপি নেতৃত্ব।

দল বদল প্রসঙ্গে এক বিজেপি নেতা কিষান কেডিয়ার দাবি, মানুষ সঙ্গে আছে। ভয় দেখিয়ে, পয়সার টোপ দিয়ে লোক ভাঙিয়ে কোনও লাভ নেই বলেই দাবি তাঁর। অন্যদিকে, তৃণমূলের দাবি, সাধারণ মানুষ বুঝে গিয়েছে বিজেপির ভাঁওতাবাজি ছাড়া আর কিছু নেই। শুধু বাংলার মানুষই নয়, নেতা-কর্মীরাও সেখানে যোগ্য সম্মান পান না। আর সেই কারণেই নেতা-কর্মীরা বাংলার নেত্রী মমতার হাত শক্ত করছে বলে দাবি তৃণমূলের।

Facebook Comments Box

সম্পর্কিত পঠিত খবর

সর্বশেষ খবর