এনবিটিভি ডেস্ক: উত্তর দিনাজপুরের বিজেপি বিধায়কের মৃত্যু রহস্য ক্রমশ ঘনীভূত হচ্ছে। যদিও জেলা পুলিশের দাবি, প্রাথমিক তদন্তে এটা আত্মহত্যা বলেই মনে হচ্ছে। সোমবার সকালে রায়গঞ্জের বিন্দোল এলাকায় বাড়ি থেকে ১ কিমি দুরেই একটি বন্ধ মোবাইলের দোকানের সামনে হেমতাবাদের বিজেপি বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
বেলার দিকে রাজ্য পুলিশের দাবি, মৃত বিধায়কের পকেট থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে। তাতে মৃত্যুর জন্য দুই ব্যক্তির নাম লেখা রয়েছে। যদিও তদন্তের স্বার্থে তাঁদের নাম প্রকাশ করেনি পুলিশ। এরমধ্যেই রাজ্য প্রশাসন বিধায়কের মৃত্যুর তদন্তভার সিআইডি-র হাতে তুলে দেয়। এদিন সকালেই ঘটনাস্থলে পুলিশ কুকুর নিয়ে যাওয়া হয়। বিধায়কের দেহ শুঁকে ওই স্নিফার কুকুরটি কিছুদূর ছোটাছুটিও করে। তবে তদন্তে সেটা কোনও সাহায্য হবে কিনা সেটা খোলসা করেনি পুলিশ।
সূত্রের খবর, রাজ্য পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকরা জেলা পুলিশকে সবদিক খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নিতে বলেছেন। তবে এবার তদন্তভার গ্রহণ করবে রাজ্য গোয়ন্দা দফতরের (সিআইডি) আধিকারিকরা।
অপরদিকে মৃত বিধায়কের পরিবার ও স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, আত্মহত্যা নয় খুন করা হয়েছে দেবেন্দ্রনাথবাবুকে। বিধায়কের স্ত্রীর প্রশ্ন, বাড়ি থেকে এতদূর গিয়ে কেন আত্মহত্যা করবেন উনি? এছাড়া যে পথে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন, সেই পথে অনেকটাই নির্জন। তাই নির্জন এলাকা না বেছে আত্মহ্ত্যার জন্য কেন বাজার এলাকা বেছে নিতে যাবেন তাঁর স্বামী?
রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার সুপার সুমিত কুমার জানিয়েছেন, বিধায়কের পকেটে একটি সুইসাইড নোট পাওয়া গিয়েছে। তাতে দুজনের নাম রয়েছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে সুইসাইড নোটের হাতের লেখা বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের কিনা।
পাশাপাশি যাদের নাম পাওয়া গিয়েছে তাঁদের ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এলাকার মানুষ প্রশ্ন তুলছেন, কেউ গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করলে তাঁর হাত কেন বাঁধা থাকবে? সূত্রের খবর, সমস্ত দিক খতিয়ে দেখতে ঘটনাস্থলে যাচ্ছে ফরেন্সিক দল।