ধর্মভিত্তিক সংরক্ষনের ইতিহাস

NBTV ONLINE DESK

NBTV ONLINE DESK

OIP

Caste reservation ভারতবর্ষে বহুদিন ধরে চলে আসা একটি বিতর্ক। সরকারের caste basis reservation দেওয়া উচিত নাকি নয়? উত্তরটা খুব সহজ, কিন্তু যখন উত্তর খুঁজতে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়, তখনই উঠে আসে অনেক জটিলতা।

Caste reservation বা ধর্মভিত্তিক সংরক্ষন নিয়ে কথা বলতে হলে আমাদের অবশ্যই caste discrimination বা ধর্মভিত্তিক বৈষম্যের কথা উল্লেখ করতেই হবে। আপনারা যারা সহরে থাকেন তাদের নিশ্চয়ই মনে হচ্ছে আজকের দিনে আবার ধর্মভিত্তিক বৈষম্য ছুঁৎমার্গ এ সব কে করে? কিন্তু আপনি জানলে অবাক হয়ে যাবেন এখনও উত্তরপ্রদেশ, বিহার, মধ্যপ্রদেশের বেশ কিছু জেলায় ছুঁৎমার্গের ratio 50% । ২০১৬ তে SARI ( Social Attitude Research India ) একটা phone survey চালান। যেখানে তারা দিল্লি, মুম্বাই, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশের কিছু লোককে জিজ্ঞাসা করেন তারা নিজেদের বাড়িতে ধর্ম বৈষম্যের মানসিকতা কতটা দেখতে পান বা তারা নিজেরাই কতটা ধর্ম বৈষম্যে বিশ্বাস করেন ? দিল্লিতে ২৯% অদলিত মহিলা স্বীকার করেছেন তাদের বাড়িতে ধর্ম বৈষম্য মানা হয়, ২১% অদলিত মহিলা স্বীকার করেছেন তারা নিজেরা ধর্ম বৈষম্য করেন। এই সার্ভেতেই দিল্লীর ৪৯% লোক caste reservation এর বিরুদ্ধে গলা তুলেছিলেন। তাদের কথাই শিক্ষা বা চাকরি মেধা ভিত্তিকই হওয়া উচিত। নাহলে অনেক general caste এর ছেলে মেয়ে সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।  caste reservation কে যারা সমর্থন করেন তাদের বক্তব্য হল যেহেতু এখনও caste discrimination আছে তাই caste reservation থাকাটা জরুরী। আর যারা caste reservation এর বিপক্ষে তাঁরা বলেন caste reservation থাকলে অসমতা বৃদ্ধি পায়,তাই এই ব্যবস্থা তুলে দেওয়া দরকার।

 

Caste system তৈরির পিছনে অনেকগুলো কাল্পনিক গল্প প্রচলিত আছে। যার মধ্যে সবথেকে জনপ্রিয় এবং প্রচলিত গল্পটা আপনাদের বলি। WRIG VED অনুসারে মনে করা হয় যে দুনিয়ার যে প্রথম মানুষ ছিলেন তিনি আমাদের সমাজ বানানোর জন্য নিজের শরীরকে ভাগ করেছিলেন। তাঁর শরীরের বিভিন্ন অংশ থেকে তৈরি হয়েছিল বিভিন্ন বর্ণের লোক।  মাথা থেকে তৈরি হয়েছিল ব্রাহ্মন লোক। যারা শিক্ষা ও বুদ্ধির অধিকারি। তাই তারাই সমাজের পুরোহিত ও শিক্ষকের দায়িত্ব পায়। সেই পুরুষের হাত থেকে তৈরি হয় কায়স্থ বর্ণ। যাদের শক্তিশালী শরীর থাকার কারনে তারা সমাজের যোদ্ধা বা রাজার পদ পায়। তাঁর হাত থেকে সৃষ্টি হয় বৈশ্য বর্ণ। এরা সমাজে কৃষক, ব্যবসাদারীত্বের দায়িত্ব পায়। এবং তাঁর পা থেকে তৈরি হয় শুদ্র লোক। যারা সমাজের ছোট খাটো কাজ করে। কিন্তু এই system থেকে যাদের পুরোপুরি বাদ দেওয়া হয়েছে তাঁরা হলেন দলিত সম্প্রদায়। যারা এই বর্ণভেদের মধ্যে রাখাই হয়নি। তাই এদেরকে অবর্ণও বলা যেতে পারে। এদের সমাজে ঝাড়া মোছার কাজের জন্য ব্যবহার করা হয়।

এটা ছাড়া আরও একটি theory হল কোনো মানুষ কোন বর্ণের মানুষ হয়ে জন্ম গ্রহন করবে তা নির্ভর করে তাঁর আগের জন্মের কাজের উপর।  অর্থাৎ কেউ যদি আগের জন্মে ভালো কাজ করে তবে ষে এই জন্মে ব্রাহ্মন হয়ে জন্মাবে, আর যদি কেউ খারাপ কাজ করে তাহলে সে শুদ্র বা দলিত হয়ে জন্মাবে। এই theory অনুযায়ী এটাও বলা হয় যে যদি কোন নিচু বর্ণের লোক পরের জন্মে উঁচু বর্ণের লোক হয়ে জন্ম নিতে চায় তাহলে তাঁকে তাঁর নিজের বর্ণেই থেকে ভালো কাজ করতে হবে। কিছু মানুষ বলেন যে আমদের বর্ণের উপর আমাদের কাজ নির্ভর করবে না। বরং আমাদের কাজই আমাদের বর্ণ নির্ধারণ করে দেবে। যেহেতু সে সময় ব্রাহ্মণরা বেশি শিক্ষিত ছিল তাই তাঁরা শিক্ষার দায়িত্বে ছিলেন। কিন্তু তার মানে এই নয় যে কেবল ব্রাহ্মণরাই শিক্ষক হতে পারতেন। অন্য যে কেউও শিক্ষা অর্জন করে ব্রাহ্মন হতে পারত।

 

এই theory অনুযায়ী আমাদের caste system কিছুটা জলের মতো ছিল। যে কেউ শিক্ষা অর্জন করে ব্রাহ্মন হতে পারত। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে caste system আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠল। মানুষের জীবনের ছোট বড় সব ক্ষেত্রে কেবল ধর্ম আর বর্ণই দেখা গেল। মানুষ কার সাথে মিশবে, কাকে বিয়ে করবে, কার সাথে খাবে, কি কাজ করবে সবেতেই প্রভাব পড়তে শুরু করল caste এর। আর মানুষ তাঁর ধর্ম ও বর্ণের পরিচয়কে পিছনে ফেলে এগোতে ব্যর্থ।

 

এতক্ষন যে caste system এর কথা বললাম তা theoretically হয়তো ভালভাবে সাজানো মনে হচ্ছে। কিন্তু বাস্তবে বর্ণভেদের প্রয়োগ খুব বেশি ছিলনা। তবে ব্রিটিশরা আসার পর এই বর্ণভেদ প্রথা আরও বৈষম্যমুলক ও মারাত্মক হয়ে ওঠে। কারনটা খুব সহজ। ব্রিটিশরা ভারতের administration এর কাজগুলোকে আরও সহজ করতে চায়। Henry Waterfield, যিনি ওই সময়ের ভারতের satistic and commerce department এ ছিলেন, তিনি ততকালীন ১টা রিপোর্টে লেখেন ভারতের মানুষকে ধর্মভিত্তিক বিভাজন করা কতটা কঠিন হচ্ছে তাদের জন্য। ব্রিটিশ স্কলার জেমস প্রিন্সেপ, ১৮৩৪ সালের সেন্সেক্স রিপোর্ট বানাতে গিয়ে বেনারসের ব্রাহ্মণদের মধ্যে কম করে ১০৭ রকমের বিভাজন পান। ১৮৭২ এ Henry Waterfield sensex report বানাতে গিয়ে উপলব্ধ করেন যে ভারতবাসিদের ভাগ করার সব থেকে সহজ উপায় হল ৪ টি বর্ণে ভাগ করা। আজকের দিনে ব্রাহ্মন , কায়স্থ, বৈশ্য, শুদ্র এই ৪টে ভাগ হিন্দু ধর্মের মধ্যে বিশেষভাবে পরিচিত।  কিন্তু W.R.Cornish , যিনি ১৮৭১ সালে মাদ্রাসের সেন্সাস রিপোর্ট বানিয়েছিলেন, তিনি বলেন ইতিহাসে এমন কোন সময় নির্দিষ্ট করে নেই যে যখন হিন্দুরা তাদের ধর্মকে ৪ ভাগে ভাগ করে। অর্থাৎ এর থেকে বোঝাই যায় যে এই বর্ণভেদ প্রথাকে বহুল প্রচলিত করেছিল ব্রিটিশরাই। ব্রিটিশরাই ব্রাহ্মণদের সব থেকে উঁচু স্থান দিয়েছিল। কাদের সাহায্যে ব্রিটিশরা এ কাজ করেছিল যদি প্রশ্ন করেন তাহলে তার উত্তর হবে ব্রাহ্মণদের মদতেই।

 

১৭৭২ সালে ওয়ারেন হেস্তিংস হিন্দু মুসলিম আইন প্রনয়নের চেষ্টা করেন। এই কাজের জন্য তিনি ১১ জন ব্রাহ্মন পণ্ডিতকে নিয়োগ করেন। ব্রাহ্মন পণ্ডিতরা এই সুযোগকে খুব ভালোভাবে কাজে লাগান। তাঁরা আরও বেশি করে বেদের নিয়মাবলি মানুষের উপর চাপিয়ে দেন। এই ঘটনাকে “ব্রাহ্মন্যবাদ” বা “Brahminism” বলা যেতে পারে। কারণ সেই সময়ের ভারতে বর্ণভেদ প্রথা সে ভাবে প্রচলিত ছিলনা। সমস্ত হিন্দু বর্ণভেদ প্রথা মানতও না।  ব্রাহ্মন গোষ্ঠী জোর করে তৎকালীন সমস্ত হিন্দুদের বর্ণভেদ মানতে বাধ্য করেছিল। আর এই সুযোগে ব্রিটিশরাজ ভারতে উচ্চ ও নিম্ম বর্ণের মধ্যে বিভেদটা আরও বড় করে দেয়।

 

Indian sociologist M.N.Shrivastav তাঁর লেখাতে বর্ণনা করেন ব্রিটিশরা ভারতীয় সমাজে মানুষের মেলামেশাকে কতটা কঠিন করে দেয়। ব্রিটিশরা আসার আগে কোন অব্রাহ্মণ মানুষও রাজনীতির অংশ হতে পারতেন। কিন্তু ব্রিটিশরা আসার পর তা প্রায় অসম্ভব হয়ে যায়। একটা উদাহরন দিই। ১৯১০ সালে ভারতের ভাইসরায় ছিলেন লর্ড হার্ডিঙ্গে। তিনি ঘোষণা করেন যে ভারতের সমস্ত সরকারি চাকরির পরিক্ষা open competition এর মাধ্যমে হবে। আর পরীক্ষাটা হবে ইংরাজিতে। তাঁর এই সিদ্ধান্তে মাদ্রাস প্রেসিডেন্সির ব্রাহ্মণরা বেশি সুবিধা পায়। কারণ কেবলমাত্র তাদের কাছেই ইংরাজি ভাষা শেখার সুযোগ ছিল সেইসময়। আর এই কারনে মাদ্রাসের ব্রাহ্মন মোট জনসংখ্যার ৩ শতাংশ হওয়া সত্ত্বেও তাঁরা মাদ্রাস পাব্লিক সার্ভিস কমিশনের ৮০ শতাংশ দখল করে ছিল।

 

  • ১৯ ও ২০ শতাব্দীতে এমন কিছু মানুষ ছিলেন যারা মাদের caste system নিয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছিল। তাদের সবার কথা আলোচনা করা সম্ভব না হলেও যে ৩ জনের কথা বলতেই হয় তাঁরা হলেন সাহুজি মহারাজ, জ্যোতিরাও ফুলে ও বি. আর. আম্বেদকার। সাহুজি মহারাজ ভারতের প্রথম ব্যক্তি, যিনি তাঁর কোলাপুর রাজ্যে প্রথম সরকারী চাকরির ক্ষেত্রে পিছিয়ে পরা জাতির জন্য ৫০% আসন সংরক্ষন চালু করেন।

 

  • জ্যোতিরাও ফুলে শুদ্র বর্ণে জন্মগ্রহন করেন । তিনি আমেরিকার দাস আন্দোলনের দ্বারা বিশেষভাবে অনুপ্রানিত হয়েছিলেন। ১৮৭৩ সালে, জ্যোতিরাও ফুলে নিম্ম বর্ণের মানুষের উন্নতির জন্য সত্যশোধক সমাজ নামে ১ টি সংগঠন গড়ে তোলেন। তিনি বেদকে মানতে অস্বীকার করেন এবং ব্রাহ্মন লোকেদেরই শুধু হিন্দু ধর্মের উপর একচ্ছত্র অধিকার আছে , এ কথারও তিনি সম্পূর্ণ বিরোধিতা করেন।

 

  • বিশ শতাব্দীর caste system নিয়ে কাজ করার ক্ষেত্রে সব থেকে বড় অবদান রয়েছে Dr. B. R. Ambedkar এর। এই বিষয়ের উপর লেখা তাঁর ২ টি বিখ্যাত বই ANNIHILATION OF CASTE এবং THE EMANCIPATION OF THE UNTOUCHABLES । Lower class যাদের তিনি obressed বা depressed class বলে উল্লেখ করেছেন তাদের জন্য আম্বেদকার separate represtaion দাবি করেছিলেন। এই separate represtation কেবলমাত্র ইংরেজদের বিরুদ্ধেই নয়, ব্রাহ্মণদের বিরুদ্ধেও বটে। ১৯৩০ সালে আম্বেদকার নাগপুরে ১ টি depressed classes congress দল গঠন করেন এবং বলেন depressed class এর নিরাপত্তার জন্য তাদের কেবল ইংরেজ সরকার নয়, কংগ্রেসের ভিতর থেকেও স্বাধীন হতে হবে। ১৯৩২ সালের আগস্ট মাসে, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী রামসে ম্যাকডোনাল্ড আম্বেদকারের দাবি মেনে নেন। ঠিক করা হয় depressed classes এর জন্য separate elctoras দেওয়া হবে। এই নিয়ম অনুসারে মুসলিম, পার্শি, অ্যাংলো ইন্ডিয়ান সহ সমস্ত পিছিয়ে পরা জাতি এই নিয়মের আওতায় আসবে।

আপনাদের separate elctorate এর বিষয়টা একটু খোলসা করে বলি। সেপারেট ইলেকটোরাসের অর্থ হল সেই constituency তে কেবলমাত্র নিচু জাতিরাই ভোট দিতে পারবে। আর joint reserved electorate এর ক্ষেত্রে ভোট সবাই দিতে পারবে, কিন্তু candidate নিম্ম বর্ণের কেউ হবে।

এ খবর গান্ধিজি পাওয়া মাত্রই এই আইনের বিরুদ্ধে আমরণ অনশন ঘোষণা করেন। কারণ গান্ধিজির মনে হয় এই আইন হিন্দু আর হরিজনদের মধ্যে বিভেদ আরও বাড়িয়ে দেবে। কিন্তু আম্বেদকারও তাঁর নিজের দাবীতে অনড় থাকেন। কারণ তিনি মনে করেছিলেন কেবলমাত্র separate electorate ই পারে নিচু জাতির মানুষের উন্নতি ঘটাতে। অনশনের কারনে গান্ধিজির শরীরের অবস্থার অবনতি হতে শুরু করলে আম্বেদকারকে গান্ধিজির দাবি মেনে নিয়ে এই আইনে পরিবর্তনের পক্ষে মত দিতে হয়। যার নাম হয় পুনা প্যাক্ট। গান্ধিজি আম্বেদকারকে কথা দেন separate electorates না দিলেও  joint electorate এর ক্ষেত্রে depressed classes এর জন্য আরও বেশি আসন দেওয়া হবে। আগে যেখানে depressed classes এর জন্য ৭৮ টি আসন ছিল, পুনা প্যাক্ট অনুযায়ী, তা বাড়িয়ে ১৪৮ টি আসন করা হয়। অনেকেই মনে করেন সেইসময় যদি separate electorates দেওয়া হত তাহলে আজ ভারতের ইতিহাস ও বর্তমানটা অন্যরকম হত। কিন্তু কি হত, কি হবে তা নিয়ে আমাদের আলোচনা করে কোন লাভ নেই। কারণ এ সবই অনুমান। এর কোন প্রমান আমাদের কাছে নেই।

 

স্বাধীনতার পর পিছিয়ে পরা জাতির জন্য শিক্ষা, সরকারী চাকরি ও রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্বর ক্ষেত্রে সংরক্ষন দেওয়া হয়। রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্ব করানোর জন্য joint electorates system চালু থেকে যায়। লোকসভার ৫৪৩ টা সিটের মধ্যে শিডিউল কাস্টের জন্য ৮৪ টা এবং শিডিউল ট্রাইবের জন্য ৪৭ টা সিট সংরক্ষন করা হয়। এছাড়াও ১৯৫০ সালে যখন constitution লেখা হয় তখন article 15 ও 16 যোগ করা হয়। তাতে বলা হয়, সমাজিক ও আর্থিকভাবে পিছিয়ে পরা জাতি বা sc st দের উন্নতির জন্য শিক্ষা এবং সরকারী চাকরির ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হবে। আজকের দিনে জনসখ্যার ভিত্তিতে ১৫% আসন sc দের জন্য এবং ৭.৫% আসন st দের জন্য সংরক্ষিত আছে। ১৯৯৩ এর আগে পর্যন্ত সংরক্ষন কেবল sc,st দের জন্যই ছিল। ১৯৯৩ তে মণ্ডল কমিশন রিপোর্ট প্রকাশ হওয়ার পর other backword classes বা OBC কেও সংরক্ষনের আওতায় আনা হয়। ২৭% সংরক্ষন দেওয়া হয় OBC কে। অর্থাৎ কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে মোট ৪৯.৫% আসন সংরক্ষিত হয়। এ ছাড়াও রাজ্য সরকারকে অধিকার দেওয়া হয় যে রাজ্য সরকার নিজের রাজ্যের অন্যান্য জাতির জন্য সংরক্ষন বাড়াতে পারে। তাই আপ্নারা শুনতে পাবেন যে মহারাষ্ট্র সরকার মারাঠিদের জন্য, হরিয়ানা সরকার জাঠদের জন্য সুপ্রিম কোর্টের কাছে সংরক্ষন দাবি করে। ২০১৯ সালে এই সংরক্ষন পদ্ধতি আরও এক কদম এগিয়ে যায়, যখন মোদী সরকার আর্থিক ভাবে  পিছিয়ে পরা গোষ্ঠী, যারা general category তে belong করে, তাদের জন্য ১০% সংরক্ষন চালু করে। এর ফলে ভারতের সংরক্ষন প্রায় ৬০ শতাংশতে পৌঁছে যায়।

 

Facebook Comments Box

সম্পর্কিত পঠিত খবর

সর্বশেষ খবর