নিজস্ব প্রতিবেদক: শনিবার মুর্শিদাবাদ থেকে আলকায়দা জঙ্গি যোগ সন্দেহে ছ’জনকে গ্রেফতার করেছে এনআইএ। কেরলের এর্নাকুলাম থেকেও তিন জনকে পাকড়াও করেছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। তারাও মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা বলে খবর।
ঘটনায় যখন চূড়ান্ত উদ্বেগ প্রকাশ করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। এব্যাপারে মুর্শিদাবাদের প্রাক্তন সাংসদ বদরুদ্দোজা খান সাংবাদিকদের বলেন “যদি সত্যিই জঙ্গি হয় আইন আইনের পথে চলবে! কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার অনেককেই অন্যায্য ভাবে গ্রেফতার করছে!” উদাহরণ হিসেবে উমর খালিদের কথাও বলেন তিনি।
বাংলাদেশের জামাত উল মুজাহিদিনের সঙ্গে যোগের কারণে গত এক বছরে একাধিক গ্রেফতারির ঘটনা ঘটেছে মুর্শিদাবাদে। খাগড়াগড় বিস্ফোরণের চাঁইদেরও মুর্শিদাবাদ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এ ব্যাপারে অধীর চৌধুরী স্পষ্টই বলেন, বারবার মুর্শিদাবাদের জঙ্গি যোগ তাঁর কাছে উদ্বেগের।
সিপিএমের প্রাক্তন সাংসদ বদরুদ্দোজা খান আরো বলেন বসিরহাটের তরুণী থেকে ধনেখালির কলেজছাত্রীর জামাত যোগের ঘটনা সামনে আসার পর অনেকেই বলেছিলেন, রাজ্য সরকারের প্রশাসনিক দূর্বলতার কারণেই সন্ত্রাসবাদীদের আনাগোনা বাড়ছে বাংলায়। কিন্তু সে কথা মানতেই চাইলেন না বদরুদ্দোজা খান। বললেন, “পশ্চিমবাংলায় জঙ্গি কার্যকলাপ বাড়ছে বলে মনে করি না। পশ্চিমবাংলায় সমাজবিরোধী কার্যকলাপ বাড়ছে।” তিনি আরও বলেন, “এর আগেও অনেককে ধরেছিলকিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই তদন্ত কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে তা এখনও জানা যায়নি।”
মুর্শিদাবাদ থেকে ধৃত ৬ জন হল নাজমুস সাকিব, আবু সুফিয়ান, মইনুল মণ্ডল, লিউ ইয়ান আহমেদ, আল মামুন কামাল ও আতিউর রহমান। আর কেরলের এর্নাকুলাম থেকে ধৃত তিন জন হল মুরশিদ হাসান, ইয়াকুব বিশ্বাস ও মোশারফ হোসেন। ধৃতদের কেরল ও পশ্চিমবঙ্গের আদালতে তুলে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জেরা করার জন্য আবেদন জানানো হবে।