দু কান কাটার কিসসা

NBTV ONLINE DESK

NBTV ONLINE DESK

Ram-Puniyani-Bharat-Jodo-Yatra

~হাফিজুর রহমান, আসোসিয়েট এডিটর, এনবিটিভি

ভারত জোড়ো যাত্রা দেশের রাজনীতিতে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে। রাহুল গান্ধীর মতো নেতা এরকম গণ উন্মাদনা তৈরী করবে এটা কেউ ভাবতে পারেনি। দিনে ২৫/৩০ কিলোমিটার হাঁটার ফাঁকে ফাঁকে জনতার দাবিতে সাড়া দিয়ে রাহুল গান্ধীকে বিভিন্ন বিষয়ে বক্তব্য রাখতে হচ্ছে। রাহুল দেশের রাজনীতিতে সব থেকে পুরোনো দলের প্রতিনিধিত্ব করছেন, কাজেই তার বক্তব্যে ভিন্ন বিষয় উঠে আসছে। এটাই স্বাভাবিক, কারণ কংগ্রেস আর যাই হোক কোনো আঞ্চলিক দল নয় যে তার কথায় কোনও বিশেষ অঞ্চলের কথা উঠে আসবে। 

যে যায় বলুক এটা অস্বীকার করা যাবেনা যে কংগ্রেস দেশের সব থেকে পুরোনো জাতীয় দল আর রাহুল সেই দলের এক গুরুত্বপূর্ণ এক সদস্য। দিন তিনেক আগে কথা বলতে গিয়ে রাহুল বলেছেন জুমলা পার্টির আইকন (বীর!) সাভারকার জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ব্রিটিশ সরকারের কাছে মাফ চেয়েছেন। এতে মুখ পুড়েছে জুমলা পার্টির। দলের উপর মহলের আদেশে দলের

 মুখ বাঁচাতে আসরে নেমে পড়েছে বড়ো ছোট সিকি আধুলি নেতারা। সঙ্গে তবলার বায়া গদি মিডিয়া হুক্কাহুয়া করে বাজার গরম করেছে। রাহুল রেখে ঢেকে অর্ধেক বলেছেন। বাকিটা  আমি ফাঁস করছি

 জুমলা দলের আইকন একাধিকবার  শুধু মাফ নয় মুক্তির বিনিময়ে ইংরেজ বিরোধিতা করবেন না সে মুচলেকা দিয়েছেন বীর (!) সাভারকার। এটা নতুন ব্যাপার মুচলেকা দিয়ে বীর হওয়া যায়? জানা ছিলনা। এখানেই শেষ নয় গুণধর নেতা নিজের পেনশন বাড়াবার জন্যও ব্রিটিশ সরকারের কাছে আবেদন করেন এক নয় একাধিক বার।  একেই বলে বীরত্ব। এরকম বীরত্ব দেখাতে পেরেছেন রাহুল?

 আমার মত বেয়াড়া সাংবাদিক সবিনয়ে জুমলার হুক্কা হুয়া সিকি আধুলি নেতা আর তাদের ধামাধরা গদি মিডিয়াকে মনে করিয়ে দিতে চায় ইন্দিরা গান্ধী, রাজিব গান্ধীর কথা। মা আর ছেলে কাপুরুষ ছিলেন বা পাগল ছিলেন না হলে দেশের জন্য প্রাণ দেয়! বরং ওদের পুজ্যপাদ নেতার পথ ধরলে বেচে বর্তে থাকতেন। প্রশ্ন জাগে মনে দেশের জন্য জান কুরবান করা রাজিব বা ইন্দিরা কি কাপুরুষ ছিলেন?

মুচলেকা চাইলে জানে বেচে থাকতেন, লোকে জুমলাবীর নাই বলতো। ছি! এরকম বোকামি কেউ করে! রাহুল হাটের মাঝে হাড়ি ভেঙ্গে বড় অন্যায় করেছেন। এত বয়স হলো এখনও শিক্ষা হলনা,

কানা কে কানা বলতে নেই এটা ওর বিদেশী মা শেখায়নি। মৌচাকে ঢিল ছোড়া হয়েছে এখন মুখরক্ষা করতে নেমেছে দুকান কাটার দলের মেম্বাররা। এক নেতা বলে বসল রাহুলকে ক্ষমা চায়তে হবে নাহলে বাঁদর নামিয়ে যাত্রা বন্ধ করে দেওয়া হবে। অন্য আরেকজন মাইলেজ নেওয়ার জন্য  হাম কিসিসে কম নেহি স্টাইলে আলটপকা মন্তব্য করে বসলে। তার সোজা বয়ান মহাত্মা গান্ধি মাফ চেয়েছেন। একটি চিঠির শেষে গান্ধীজী ইউর মোস্ট অবিডিয়েন্ট সার্ভেন্ট লিখেছেন,, সেটি দেখানো হয়েছে। এই হস্তিমূর্খদেরকে বোঝাবে আগে চিঠির শেষে লেখার এরকম রীতি ছিল। বোঝার জন্য মাথায় ঘিলু থাকা দরকার ঘিলুর বদলে গোবর থাকলে কিছু করার নেই। এখানেই শেষ নয় আরেক পন্ডিতমন্য বলে বসলেন মাফ চেয়ে কি অন্যায় হয়েছে! শিবাজী বারবার মুঘল সম্রাট আরঙ্গজেবের কাছে মাফ চেয়েছেন। বাস সুযোগ পেয়ে মারাঠি অস্মিতাই আঘাত লেগেছে বলে লোপপা ক্যাচ লুফে কংগ্রেস মাঠে। 

অতি উৎসাহী বাঁদর সেনার সভ্য দু-একজন রাহুলকে খুন করার হুমকি দিয়েছে। দীর্ঘ পদযাত্রায় রাহুল রোজ অনেক লোকের সঙ্গে মিশছেন। সিকিউরিটির দায়িত্বে রয়েছেন যারা তারা উৎসাহী রাহুলকে সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন। সাবধানের মার নেই, রাহুলের রাজিব গান্ধীর পরিণতির কথা মনে করে সাবধান হওয়া উচিত। পাগল কুকুরকে বিশ্বাস নেই, কখন কী করে বসে!

Facebook Comments Box

সম্পর্কিত পঠিত খবর

সর্বশেষ খবর