মিশরের স্বৈরশাসক আলসিসিকে এনে কীসের বার্তা দেওয়া হল?

NBTV ONLINE DESK

NBTV ONLINE DESK

ছবিঃ mygov.in
ছবিঃ mygov.in

~মুদাসসির নিয়াজ

ভারতের ৭৪তম প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ করে আনা হল মিশরের প্রেসিডেন্ট জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আলসিসিকে। বুধবার তিনি নয়াদিল্লি বিমানবন্দরে অবতরণ করে রাতের দিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মূর্মু, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর প্রমুখের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেন। তারপর উভয়পক্ষ বেশ কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষর করে বলে খবর। পরদিন বৃহস্পতিবার প্রজাতন্ত্র দিবসে সেনাবাহিনীর কুচকাওয়াজে রাষ্ট্রীয় অতিথি হিসেবে যোগ দেন আলসিসি। তিনদিনের সফর শেষ করে শুক্রবার তিনি নীলনদের দেশে ফিরে যান।
এ পর্যন্ত ঠিকঠাই ছিল। কারণ, এটা কূটনৈতিক সৌজন্য। তারই অংশ হিসেবে প্রতি বছর স্বাধীনতা দিবস এবং প্রজাতন্ত্র দিবসে বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানদের অতিথি করে আনার রেওয়াজ বরাবরই রয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হল, কাকে অতিথি করে আনা হল? তাঁর পরিচয় বা ব্যাকগ্রাউন্ড কী? কোন পথে তিনি সেনাবাহিনীর সর্বোচ্চকর্তা থেকে রাষ্ট্রপ্রধান হলেন?

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে মিশরের রাষ্ট্রপতি আল সিসি, ছবিঃ PIB

পিরামিডের দেশ নামে খ্যাত মিশরের রক্তাক্ত ইতিহাস রচনা করে ২০১৩ সালের মাঝামাঝি গণতন্ত্রকে গলা টিপে হত্যা করে ক্ষমতার অলিন্দে অনুপ্রবেশ করেন সেনাপ্রধান জেনারেল আলসিসি। অর্থাৎ কাক হয়ে লেজে পেখম লাগিয়ে ময়ূর সেজেছেন আলসিসি। মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম উল্লেখযোগ্য দেশ মিশরের কয়েক হাজার বছরের ইতিহাসে একমাত্র গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. মুহাম্মাদ মুরসিকে মাত্র এক বছরের মাথায় ষড়যন্ত্র করে সেনা অভ্যুত্থান ঘটিয়ে গণতন্ত্রকে উৎখাত করে সমরিক শাসন কায়েম করেন এই আলসিসি। ড. মুহাম্মদ মুরসি ক্ষমতায় আসীন হন ২০১২ সালের ৩০ জুন। আর আমেরিকা, ইউরোপ, ইসরাইল ও আরবদের সঙ্গে আঁতাত করে তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয় ২০১৩ সালের ৩ জুলাই।

অথচ এই নেমকহারাম আলসিসিকে সেনাপ্রধান পদে বসিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট মুরসিই। মানুষ চিনতে তাঁর ভুল হয়েছিল। সেই ভুলেরই খেসারত দিতে হল অধ্যাপক মুরসিকে। সুপার পাওয়ারদের তাঁবেদার আলসিসি রাষ্ট্রক্ষমতা কুক্ষিগত করে প্রেসিডেন্ট মুরসি, প্রধানমন্ত্রী হিশাম কান্দিল সহ নির্বাচিত সরকারের সমস্ত সাংসদ ও মন্ত্রীকে কারারুদ্ধ করে। সর্বশেষ পরিসংখ্যান বলছে, গত ১০ বছর ধরে মিশরের জেলখানাগুলোতে বন্দি রয়েছে অন্তত ৬০-৭০ হাজার মুরসি অনুগামী নেতা-কর্মী ও জনপ্রতিনিধি সহ শান্তিকামী ও গণতন্ত্রকামী মানুষজন। মুরসির রাজনৈতিক দল ফ্রিডম অ্যান্ড জাস্টিস পার্টিকে সন্ত্রাসবাদী তকমা লাগিয়ে চিরতরে নিষিদ্ধ করা হয়। তাদের সমস্ত অফিস সিল করে দেওয়া হয়। দলটির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সিজ করে দেওয়া হয়। গ্রেফতার করে সমস্ত নেতা-মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে কয়েক ডজন করে ফৌজদারি মামলা দেওয়া হয়।

শুধু তাই নয়, প্রেসিডেন্ট মুরসিকে উৎখাত করার পর দেশে গণতন্ত্র ফেরানোর দাবিতে এক-দেড় বছর লাগাতার গণআন্দোলন চলেছিল মিশরে। সেই আন্দোলন প্রশমিত করতে আইনের বাইরে গিয়ে সবরকমের দমন-পীড়ন চালায় আলসিসি সরকার। পবিত্র রমযান মাস চলাকালে রোযাদারেরা ভোরবেলা সেহরি করে মসজিদে ফজরের নামায আদায় করতে গেলে সেখানেই গুলি চালিয়ে শত শত মুসলিমকে হত্যা করে আলসিসি বাহিনী। এমনকী সামরিক সরকারের পুলিশ ও সেনাদের অকথ্য নির্যাতন ও নিপীড়ন থেকে রেহাই পায়নি ধৃত নেতা-মন্ত্রীদের নিরপরাধ স্ত্রী, পুত্র, কন্যা, বাবা, মা, ভাই, বোনেরাও। শান্তিকামী ও গণতন্ত্রকামীদের সমূলে নিকেশ করতে ধর্ষণ, গণধর্ষণ, হত্যা, গণহত্যা, বাড়িতে অগ্নিসংযোগ কোনকিছুই বাদ দেয়নি আলসিসির আজ্ঞাবাহী পুলিশ ও সেনাবাহিনী।

অন্যদিকে, ধৃতদের দেশদ্রোহী থেকে সন্ত্রাসবাদী হরেক রকম বানোয়াট কেস সাজিয়ে কাউকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, কাউকে আমৃত্যু কারাদণ্ড, কাউকে ফাঁসির সাজা শোনায় সামরিক আদালত বা কাঙ্গারু কোর্ট। নিকটজনের বিবাহ বা মৃত্যু হলেও গত ১০ বছরে কাউকে কয়েক ঘণ্টার জন্যও প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়নি, কারও বাড়ির লোকদের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়নি, কারো চিকিৎসার বন্দোবস্ত পর্যন্ত করেনি আলসিসি সরকার। তারপরেও পশ্চিমারা আলসিসিকে গণতন্ত্রের হত্যাকারী, যুদ্ধাপরাধী বা মানবতাবিরোধী বলে চিহ্নিত করেনি; বরং আলসিসি সরকারকে আর্থিক ও আত্মিক সবরকম সহায়তা দিয়ে চলেছে। এই ভারতবর্ষের মানুষ হিসেবে আমরা অনেকেই হয়ত বিশ্বাসই করতে পারব না যে, একজন রাষ্ট্রপতি বা সরকার নিজ দেশের জনগণের ওপর এতখানি বর্বর ও নৃশংস আচরণ করতে পারে। এমন একজন গণহত্যাকারী আবার সেই দেশের রাষ্ট্রপতি হয়ে ১০ বছর দিব্যি সরকার চালাচ্ছে? এসব কী করে সম্ভব – তা আমাদের মাথাতেই আসবে না। অথচ ২০১৩ সালের জুলাই থেকে ২০১৫ সালের মাঝামাঝি আলসিসির নির্দেশে মিশরীয়দের ওপর যে অত্যাচারের স্টিম রোলার চালানো হয়েছে, সেই সত্যকাহিনি যে কোনো রক্ত-মাংসের মানুষের হাড় হিম করে দেবে, লোম খাড়া করে দেবে।

প্রেসিডেন্ট মুরসির রহস্যমৃত্যু:
২০১৯ সালের ১৭ জুন ইন্তেকাল করেন মিশরের সর্বকালের সেরা প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মুরসি (ইন্না লিল্লাহি…)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর। সামরিক জান্তা সরকারের কাঙারু কোর্টের এজলাস চলাকালেই কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে তাঁর জীবনাবসান হয়। অভিযোগ, তাঁর স্বাভাবিক মৃত্যু হয়নি। তাঁকে হত্যা করেছিল সে দেশের বর্তমান সেনা-সরকার। কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার হল ইন্তেকালের পরেও তাঁর স্ত্রী-পুত্রদেরকে শেষ দেখার সুযোগটুকু দেয়নি সরকার। এমনকী রাতের অন্ধকারে এত গোপনে দাফন-কাফন করা হয় যে, কাক পক্ষীও টের পায়নি।

২০১১ সালে মিসরের গণ-আন্দোলনে তিন দশকের (১৯৮১-২০১১) স্বৈরশাসক জেনারেল হোসনি মুবারকের পতনের পর ২০১২ সালে মিশরে সর্বপ্রথম গণতন্ত্র মেনে আবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়। তাতেই জয়ী হন ফ্রিডম অ্যান্ড জাস্টিস পার্টির নেতা অধ্যাপক মুহাম্মাদ মুরসি। পরের বছরই তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করে কারাগারের কুঠুরিতে ভরে দেওয়া হয় এবং সেই থেকেই টানা ৬ বছর নির্জন অন্ধকার সেলে আটকে রাখা হয় প্রেসিডেন্ট মুরসিকে।

প্রজাতন্ত্র দিবস পালনের চিত্র। ছবিঃ mygov.in

উল্লেখ্য, মুরসির নেতৃত্বাধীন মিসর সরকারের একমাত্র অপরাধ ছিল তারা ইসলামপন্থী। মুসলিম দুনিয়ার সবথেকে প্রাচীন ইসলামী সংগঠন ইখওয়ানুল মুসলেমিন বা মুসলিম ব্রাদারহুড-এর রাজনৈতিক শাখা হল ফ্রিডম অ্যান্ড জাস্টিস পার্টি। ১৯২৮ সালে প্রতিষ্ঠিত ইখওয়ানের নীতি-আদর্শ, লক্ষ্য-উদ্দেশ্য ও কর্মসূচি হল “আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দ্বীন কায়েম করা”।

তাই শুরু থেকেই মুরসি সরকারের গতিবিধির ওপর সর্বক্ষণ নজর রাখত ইসরাইল, আরব এবং পশ্চিমারা। তারা সর্বদা ইখওয়ান-আতঙ্কে ও মুরসি-আতঙ্কে ভুগত। বাপ-দাদার বংশ পরম্পরায় গদ্দিনশীন হওয়া আরবরা ভয় পেত, যদি প্রতিবেশি দেশ মিশর থেকে “আরব-বসন্ত”-এর সাইক্লোন তাদের ভূখণ্ডে আছড়ে পড়ে, তাহলে সাড়ে সর্বনাশ। তাদের রাজতান্ত্রিক গদিও যাবে এবং “মধ্যপন্থী ইসলাম”-এর ফানুসও উড়ে যাবে। ইসরাইলের ভয় ছিল, মিশরে যদি ইখওয়ানের ব্যাকআপ থাকা মুরসি বেশিদিন ক্ষমতায় থাকে, তাহলে ফিলিস্তিন ইস্যুতে বদলে যেতে পারে মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনীতি।

কারণ মুরসি আর হোসনি মুবারক তো এক নয়। আলসিসির মতোই সেনা অভ্যুত্থান ঘটিয়ে ক্ষমতা দখলকারী জেনারেল হোসনি মুবারক গোপনে গোপনে ইসরাইলের সঙ্গে সখ্যতা রেখে চলত। মুরসি কিন্তু ক্ষমতায় গিয়েই মুবারকের ইসরাইল-বান্ধব চুক্তি বাতিল করে দেন এবং ইসরাইলের সঙ্গে সব সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করে ফিলিস্তিনকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। আর আমেরিকা-ইউরোপের মাথাব্যথা ও গাত্রদাহের কারণ ছিল, মধ্যপ্রাচ্য তথা মুসলিম বিশ্বে ইসলামি শাসনের ভাইরাস ছড়াতে পারে, তাই পথের কাঁটা প্রেসিডেন্ট মুরসিকে যত শীঘ্র সম্ভব সরাতেই হবে।

অশুভ ত্রিশক্তি হাত মিলিয়ে আলসিসিকে সুপারি দিয়ে কাজ হাসিল করল। আলসিসি দেখল, মুরসি যদি হায়াতে থাকে তাহলে অদূর ভবিষ্যতে ইখওয়ান বা ফ্রিডম পার্টি ঘুরে দাঁড়াবেই। কারণ মর্দে মুজাহিদরা অত সহজে দমবার পাত্র নয়। তারা ছাই চাপা তুঁসের মত ভিতরে ভিতরে ধিকি ধিকি জ্বলছিল। যদি তারা ঘুরে দাঁড়ায় তখন “মিশরের নয়া ফেরাউন আলসিসি”র কপালে দুঃখের শেষ থাকবে না। এই আশঙ্কা থেকেই প্রেসিডেন্ট মুরসিকে হত্যা করেই ক্ষান্ত না হয়ে অঙ্কুরে বিনাশ করতে ফ্রিডম পার্টি এবং ইখওয়ানকে “সন্ত্রাসবাদী” তকমা লাগিয়ে নিষিদ্ধ করা হল।

২০১১ সালে মিসরে আরব-বসন্ত নামে গণ-আন্দোলন শুরু হলে তা নস্যাৎ করতে মুরসিসহ ব্রাদারহুডের ২৪জন শীর্ষনেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদেরকে মুক্ত করতে কারাগারে হামলা করে উত্তেজিত জনতা। কারাগার ভেঙে তাঁদেরকে মুক্ত করে গণতন্ত্রকামী মিশরবাসী। এর আগেও স্বাধীন বিচারব্যবস্থার দাবিতে আন্দোলনে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার হন মুরসি। তখন তাঁকে সাত মাস জেলে রাখা হয়। আবার আলসিসির আমলে হোসনি মুবারকের থেকেও নির্মম ও স্বৈরাচারী শাসন লাগু হয়। তারপরেও আলসিসি পশ্চিমাদের বদান্যতা, আনুকূল্য ও সমর্থন পেয়ে চলেছে। তাদের চোখে আলসিসি সরকার সন্ত্রাসী নয়; মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী নয়; বরং সংস্কারপন্থী ও প্রগতিশীল। এই সার্টিফিকেট পাবার একমাত্র কারণ হল, মিশরের মানচিত্র থেকে ইসলামের নাম-নিশানা মুছে দিতে আলসিসি সদা তৎপর।

কোনও এক আন্তর্জাতিক ফোরামে আলসিসির পাশেই আসন বরাদ্দ থাকায় বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে গিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়ে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান বলেছিলেন, আমার ভাই মুরসির রহস্যমৃত্যু কোনদিন ভুলতে পারব না। খুনি আলসিসির হাত রক্তে রাঙা। তার পাশে আমি বসতে পারি না। এরদোগান এও বলেন, মুরসির মৃত্যু হয়নি, তাঁকে স্লো পয়জন করে হত্যা করেছে মিশরের আলসিসি সরকার। আমার ভাই মুরসি শহিদ হল, আর আমি গাজী হয়ে রয়ে গেলাম। আল্লাহ আমাকেও যেন শহিদের মৃত্যু দেন। জান্নাতে নিশ্চিত মুরসি ভাইয়ের সঙ্গে দেখা হবে।

এখন প্রশ্ন হল, গণতন্ত্রের হত্যাকারী আলসিসিকে প্রজাতন্ত্র দিবসে অতিথি করে এনে কীসের বার্তা দিতে চাইলেন মাননীয় নরেন্দ্র মোদিজী? তিনি কি বোঝাতে চাইলেন দেশের পরিস্থিতি তেমনটা হলে অবৈধ পন্থায় ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে সিসির মতোই গণতন্ত্রণকে বোতলবন্দি করা হবে? গদির লোভে প্রয়োজনে আলসিসির মতোই শ্বাসরোধ করে গণতন্ত্রকে হত্যা করতেও পিছপা হবেন না? দাজ্জালরূপী নব্য ফেরাউন আলসিসিকে আমন্ত্রণ করে এনে মুসলিমদের প্রতি কোন বার্তা দিতে চাইলেন মোদিজী? তিনি কি এটাই বোঝাতে চাইলেন যে, মিশরের থেকে এ দেশের মুসলিমরা অনেক ভালো আছে। তাই তারা যেন ভাগবতের কথা মতো দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হয়েই থাকতে রাজি হয় এবং হিন্দুত্ববাদীদের দয়া দাক্ষিণ্যে কোনক্রমে বেঁচেবর্তে থাকে, মুসলিমরা যেন অধিকার না চায়। এ দেশে নিরঙ্কুশ আধিপত্য থাকবে কেবল হিন্দুদের ওরফে হিন্দুত্ববাদী বিজেপির। মোদিজী কি আলসিসির মতোই দেশের রাজনৈতিক মানচিত্র থেকে সব দলকে নিষিদ্ধ করে কংগ্রেস-মুক্ত বা বিরোধী-শূন্য ভারত গড়বেন? বহুদলীয় গণতন্ত্র কি লাটে বা ডকে উঠে যাবে এবার? – এতসব আন্দাজ-অনুমান করতেই হত না, যদি মোদিজী ঝেড়ে কাশতেন। আমরা জানি অতিথি দেবভব। তাই চুপ ছিলাম।

মতামত লেখকের নিজস্ব।

Facebook Comments Box

সম্পর্কিত পঠিত খবর

সর্বশেষ খবর