এনবিটিভি, ডোমকলঃ করোনা মানুষকে ভাতে হাতে দুটোই মেরেছে। লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন কাড়ার সঙ্গে কেড়েছে জীবিকাও। থমকে দিয়েছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রাও। কাজ হারিয়েছে বহু পরিযায়ী শ্রমিক থেকে শুরু করে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা। পথে বসেছেন বহু ছোট ও মাঝারি ব্যাবসায়ীরা, ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে বহু কুটির শিল্পের শিল্পীরা। আর করোনার জন্যই ফের বন্ধ হাতে চলেছে মুর্শিদাবাদের ডোমকল থানার ফতেপুর অঞ্চলের একটি গামছা ফ্যাক্টরি।
বছর চারেক আগে ফতেপুর তাঁত শিল্পী মাকসুদ ইসলাম দশটা মেশিনসহ পঞ্চাশ জন শ্রমিক নিয়ে শুরু করেছিল তাঁত কারখানা। যা আয় হতো তাতে চলে যেত তার ও শ্রমিকদের সংসার। কিন্তু বাধ সাধলো এই করোনা। করোনা জন্য বন্ধ ছিল কারখানা। এরপর কারখানা খুললেও দাম বাড়লো সুতো সহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের।
জিনিস পত্রের দাম বাড়লেও বাড়াতে পারেনি গামছার দাম। তাই মুখ চেয়ে বসে আছে যদি সরকার সুতোর দাম কমায় বা গামছার দাম বাড়লে তবেই চালানো যাবে এই কারখানা।
কারখানা বন্ধ হলে অন্য শ্রমিকদের মত কাজ হারাতে হবে এদের। যাদের নুন আনতে পান্তা ফুরায় তারা কী করবেন ভেবে পাচ্ছেনা। তদের মতে, কাজ চলে গেলে অনাহারে দিনকাটাতে হবে তাদের। সরকারের এই সমস্ত শ্রমিকের প্রতি নজর রাখা একান্ত দায়িত্ব বলে মনে করছেন অনেকেই।