এনবিটিভি ডেস্ক, সালানপুর: কল্যানেশ্বরী মন্দির ও মাইথন ড্যাম একটি বিখ্যাত পর্যটন কেন্দ্র,কিন্তু এই অঞ্চলের রাস্তার অবস্থা জরাজীর্ণ,রাস্তা খারাপের জেরে পাঁয়ে হেঁটে যাওয়া মানুষ থেকে শুরু করে এই রাস্তার উপর যানবাহন নিয়ে চলাচল করা মানুষদের দুর্ঘটনা ঘটে চলেছে।
কল্যানেশ্বরী থেকে মাইথন রাস্তাটির অবস্থা বেহাল হয়ে পড়েছে, এই রাস্তার উপর দিয়ে সাধারণ মানুষের আসা যাওয়া করা হয়েছে মুশকিল।রাস্তায় তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত প্রায় দিনই এই রাস্তার উপর দুর্ঘটনা ঘটে থাকে তা সত্ত্বেও কোনো হেলদোল নেই মাইথন ডিভিসি কর্তৃপক্ষের। এই রাস্তা নিয়ে আমাদের সংবাদ পত্রে আগেও খবর প্রকাশিত করা হয়েছে, ডিভিসি কর্তৃপক্ষ প্রায় তিন বছর ধরে আশ্বাস দিয়ে আসছেন পিকনিকের সিজেন পার হলে রাস্তার নির্মাণ করা হবে কিন্তু আজও এই রাস্তার নির্মাণ করা হলো না। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ ডিভিসি এই রাস্তার মেরামতের আশ্বাস দিয়ে আসছে প্রায় তিন বছর ধরে কিন্তু আজ পর্যন্ত আর এই রাস্তার মেরামত করা হলো না। স্থানীয়দের প্রশ্ন মাইথন ডিভিসি কর্তৃপক্ষ কাছে ঝাড়খণ্ডের সীমা পর্যন্ত রাস্তার নির্মাণ করা হলেও, বাংলা প্রান্তে এখন রাস্তা করা হলো না কেন?
বাংলা সীমান্তে থাকা স্থানীয় মানুষজন জানান প্রতিটি সুবিধার ক্ষেত্রে ডিভিসি তাদের বঞ্চিত করেন। বাংলা প্রান্তে না রয়েছে রাস্তা, না রয়েছে স্ট্রিটলাইট, না রয়েছে পানীয় জলের সুবিধা, না রয়েছে বিদুৎ এমনকি এই বাংলা প্রান্তে অবস্থিত বিদ্যালয়ের সুবিধা ন্যূনতম, ডিভিসি সি.এস.আর ফান্ড থেকে শুধুমাত্র ঝাড়খণ্ড প্রান্তে উন্নয়ন করেন কিন্তু বাংলা প্রান্তে কোনো উন্নয়নমূলক কাজ করা হয় না কিন্তু ডিভিসি বিদ্যুৎ উৎপাদন করে বাংলা প্রান্ত থেকে তবে কেন বাংলার মানুষকে সব সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।
মজার বিষয় যে ডিভিসি কত কত জায়গায় বিনা মূল্যে পানীয় জলের সরবরাহ করছে আর সেখানে মাইথন ড্যাম্পের স্থানীয় মানুষ জন পানীয় জলের সমস্যায় ভুগছে। এই প্রসঙ্গে স্থানীয় নেতা জানান এই রাস্তার সমস্যা নিয়ে বহুবার ডিভিসি কে জানানো হয়েছে, ডিভিসি কর্তৃপক্ষ বারবার একি কথা দেন এই রাস্তার বাজেট পাশ করা হয়েছে পিকনিকের মরশুম পার হলে কাজ চালু হয়ে পড়বে। ডিভিসি কর্তৃপক্ষ বাংলার মানুষকে প্রতিটি সুবিধা থেকে বঞ্চিত করছে।