জীবনের কঠিন লড়াই ও হারাতে পারিনি সঞ্জয়ের প্রতিভা কে

NBTV ONLINE DESK

NBTV ONLINE DESK

IMG-20200718-WA0014

এনবিটিভি ডিজিট্যাল ডেস্ক: অদম্য লড়াইয়ের যে বীজটা বপন হয়েছিল সেই ক্লাস সেভেন এ পড়ার সময়ই, সেই লড়াইটা থেমে যাওয়ার নয়। কারণ নামটা যে সঞ্জয় রবিদাস। তাই লড়াইটা এখানে অন্যরকম।
প্রতিদিন সকালে বাড়ি থেকে কেঁনুয়া বাজার, সেখানে কয়েক ঘণ্টা জুতো সেলাই করা, তারপর বাড়ি ফিরেই স্কুলে যাওয়া। আবার স্কুল থেকে ফিরেই, সেই কেঁনুয়া বাজারে গিয়ে আরও কিছুক্ষণ জুতো সেলাই করা। তারপর বাড়ি ফিরে ক্লান্ত শরীরে পড়তে বসা। এটাই লড়াইয়ের বাস্তব চিত্র। বাস্তবটা আরও প্রকট হয়, যখন সারাদিনের শেষে প্রাপ্তি মেরেকেটে একশত টাকার আশেপাশে।
কিন্তু বাস্তবটা আমাদের অবাক করে দেয় যখন এই অদম্য লড়াইয়ের পরেও সঞ্জয় রবিদাস মাধ্যমিক পরীক্ষায় সসম্মানে উত্তীর্ণ হয়। আর শুধু উত্তীর্ণ হওয়াই নয়, তার প্রাপ্ত নম্বর ৪৬৫। হ্যাঁ, প্রতিদিন পাহাড়প্রমাণ কঠিন লড়াইয়ের পরেও এটা সঞ্জয় রবিদাসের প্রাপ্ত নম্বর।
আর এখানেই সে নিজেকে আলাদা করে তুলেছে। তাই তার এই অদম্য লড়াইকে কুর্নিশ জানাতে উদ্যোগ পরিবার সেদিন পৌঁছে গেছিল সোনারপুর থেকে মালদার চাঁচলের প্রত্যন্ত গ্রাম কেঁনুয়ায়, সঞ্জয়-এর বাড়িতে। তার হাতে পৌঁছে দিয়েছিল একাদশ শ্রেণীর সকল প্রয়োজনীয় বইপত্র।
লড়াইয়ের নাম সঞ্জয় রবিদাস। তাই লড়াইটা একটু অন্যরকমই। সেটা আবারও প্রমাণিত। একাদশ শ্রেণীতে সঞ্জয় তার বিদ্যালয়ে প্রথম স্থান অধিকার করল। প্রাপ্ত নম্বর ৩৭০।
আবারও একবার সঞ্জয় রবিদাসের অদম্য লড়াইকে কুর্নিশ জানায় উদ্যোগ পরিবার।এবার সঞ্জয়ের হাতে পৌঁছে দেওয়া হল দ্বাদশ শ্রেণীর বইপত্র।
এগিয়ে যাক সঞ্জয়। সফল করুক তার শিক্ষক হবার স্বপ্ন এই আশা নিয়েই আমরা সেদিন ফিরে এসেছিলাম।
আজ তার উচ্চ মাধ্যমিক এর ফলাফল…দুশ্চিন্তায় গোটা উদ্যোগ পরিবার – না নিরাশ করল না ছেলেটা…একটু সাহায্য যে মানুষকে কোথায় পৌঁছে দেয় সেটা আবার ও প্রমাণ করল বাপ মরা ছেলেটা। লোকের বাড়ি খেটে খাওয়া মা ও আমাদের মুখ উজ্জ্বল করে ৪৫১(৯৬.৫৫%) নম্বর পেল ছেলেটা।*
এগিয়ে চলুক সঞ্জয়,আমরা সবসময় ওর পাশে আছি।

যে সমস্ত চারাগাছ, মহীরুহ হয়ে উঠতে চায় তাদের পাশে খুঁটি হয়ে দাঁড়াত উদ্যোগ পরিবার বদ্ধপরিকর।

Facebook Comments Box

সম্পর্কিত পঠিত খবর

সর্বশেষ খবর